সান্দ্রা নন্দিনী : বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত কমপক্ষে আড়াই লাখ রোহিঙ্গাকে প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত করে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এটিকে ভবিষ্যতে তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকারের একটি প্রমাণ বলেও মনে করে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর আরও জানায়, এর পাশাপাশি এই পরিচয়পত্রটি মানবপাচার রোধ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ একটি সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এএফপি, ইয়ন
শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৮ রোহিঙ্গা শরণার্থী অথবা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের নিবন্ধন করেছে এবং তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রতিদিন ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এই নিবন্ধনকরণ ২০১৮ সালের জুন মাসে শুরু হয়। ভবিষ্যতে এটি তাদের মিয়ানমারে ফিরতে কাজে লাগবে।’
তিনি আরও জানান, ‘নতুন পরিচয়পত্র ১২ বছরের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মূলদেশ মিয়ানমার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আইডিকার্ডে তাদের নাম, পারিবারিক যোগসূত্র, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি রাখা হয়েছে। ইউএনএইচসিআর’র লক্ষ্য হলো নভেম্বরের মধ্যে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করা।’
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হিসেব অনুযায়ী কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে এই মুহূর্তে ৯ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের হিসেবে এর সংখ্যা আরও অনেকবেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :