রবিউল আলম : জাতির জনকের বিখ্যাত উক্তি... আমার কাছে চাটার দল ও তোষামোদির অভাব নেই, কম্বল বিতরণে সঠিক মানুষের বড়ই অভাব। জাতির জনকের সেই অনুভূতি থেকে আজও বাংলাদেশ মুক্তি পায়নি। চলচ্চিত্র অভিনেতা আহমেদ শরিফকে টাকা দিতে সুপারিশকারী ব্যক্তির অভাব ছিলো না, এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার খোঁজ নেয়ার মানুষ ছিলো না।
জীবনের সুবর্ণ সময়ে এটিএমরা জাতির জনকের হত্যার প্রতিবাদ করতে করতে পার করেছেন, আজ টাকার অভাবে আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়, মাঝে মাঝে ভক্তদের অতিভক্তির কারণে মরণের সংবাদও হতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেই এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার ভার নিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে নেত্রী ছাড়া এটিএমকে দেখার কেউই ছিলেন না? কতো বড় বড় চিকিৎসক আছেন আমাদের দলে, কিন্তু এটিএমের কোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা হলো না? কোনো সদয় ডাক্তার এটিএমের পাশে দাঁড়ালেন না।
আমাদের দলে অনেক বড় বড় কন্ট্রাক্টর, ইজারাদার, ব্যাংক লুটেরাও থাকতে পারে। নেত্রীর আশায় সবাই থাকেন, নেত্রীর সামনে গলা ফাটানোর মানুষও আছে, কিন্তু এটিএমদের দেখার কেউ নেই। যদি নেত্রীর বিদেশ থেকে আসতে আর একটু সময় বেশি লাগতো তবে এটিএমদের কি হতো, মুজিব সৈনিকদের কাছে প্রশ্ন উঠতো। এমনিতেই আহমেদ শরীফকে নিয়ে অনেক কথা উঠেছে। এটিএম শামসুজ্জামানের বিনা চিকিৎসায় কিছু হলে অনেকেই আমার নেত্রীকে কাঠগড়ায় তুলতে ভুল করতেন না, যারা অপপ্রচারের দায়িত্বে আছেন, সারাক্ষণ অপেক্ষায় বসে থাকেন শেখ হাসিনার ভুল ধরতে, ভুল সংবাদ প্রচার করতে, মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি দেখাতে। ওরা জানে এবং বুঝে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, শেখ হাসিনার বিকল্প হবে না।
এই মূহুর্তে নির্বাচনে শেখ হাসিনা বনাম অন্যান্য দলের অনুপাত হবে ৯০ ঃ ১০। অনেক নেতা জনগণকে বোকা ও সরল মনে করে, কিন্তু এটা বুঝতে পারে না জনগণের চেয়ে সঠিক পরিমাপ যন্ত্র আর কি হতে পারে। রাস্তার একজন রিকশাওয়ালাকেও যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে সেও বলবে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আহা, বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি শেখ হাসিনা জন্ম নিতো, যদি শেখ হাসিনার মতো মানুষ হতো, আল্লাহ্পাক কেন যে আমাদের মাত্র একজন শেখ হাসিনা দিলেন!লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :