স্পোর্টস ডেস্ক: ১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের খরা কাটালো বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে ম্যাচ ২৪ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিলো ২১০ রান। শুরুটা তামিম ইকাল ও সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত জুটিতে জানান দিচ্ছিলো এই শিরোপা জিতেই ছাড়বে টাইগাররা। কিন্তু তামিম, সৌম্য, মুশফিকুর রহিমের পর যখন মোহাম্মদ মিঠুনও আউট হলেন, ড্রেসিং রুমে অনেকের মাথা নুইয়ে এসেছিল হতাশায়। মাশরাফি বিন মুর্তজা উঠে তখন নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে গিয়ে চাপড়ে দিলেন পিঠ। বললেন দুটি কথা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মোসাদ্দেকের মনে পড়ছে অধিনায়ক সেই কথা।
মোসাদ্দেক যখন উইকেটে গেলেন, জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫০ বলে ৬৭ রান। এই সময়ের ক্রিকেটে এমন কঠিন কিছু নয়। তবে উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৫টি। মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক, উইকেটে থাকা এই দুজনই ছিলেন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি। এরপর ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন বোলিং অলরাউন্ডাররা।
কিন্তু আর কারও প্রয়োজন পড়েনি। মোসাদ্দেকের ২৪ বলে ৫২ রানের অসাধারণ ইনিংসে জয় ধরা দিয়েছে ৭ বল বাকি থাকতেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ জিতেছে শিরোপা।
দলকে জিতিয়ে যখন ফিরছেন, মোসাদ্দেককে আবার পিঠ চাপড়ে দিলেন মাশরাফি। পরে হোটেলে ফেরার টিম বাসে ওঠার আগে মোসাদ্দেক জানালেন, অধিনায়কের কাছ থেকে পাওয়া প্রেরণার কথা।
মোসাদ্দেক বলেন, ‘উইকেটে যাওয়ার আগে মাশরাফি ভাই বলছিলেন, ‘সৈকত তুই পারবি। যা ইচ্ছা খেল, শেষ করে আয়।’ শুধু ওই সময়ই নয়, আগের ম্যাচে বোলিংয়ের সময়, এমনকি এবার ঢাকা লিগের পুরো সময়, মাশরাফি ভাই আমাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। দলের বাইরে ছিলাম তখন। উনি বলেছেন যে, কি কি করলে দলে ফিরতে পারি। অধিনায়ক এমন ভরসা করলে আত্মবিশ্বাস সবসময়ই ভালো থাকে।’
শুধু তখন বা আগেই নয়, অনুপ্রেরণার পালা চলেছে ম্যাচ জুড়েই। বিশেষ করে ডাকওয়ার্থ-লুইসে যখন বাংলাদেশের লক্ষ্য নির্ধারিত হলো ২৪ ওভারে ২১০, সিনিয়ররা সবাই ড্রেসিং রুমে জুগিয়েছেন সাহস, জানালেন মোসাদ্দেক।
তার ভাষ্য, ‘আমরা যখন ফিল্ডিং করে ফিরেছি, তখন মাশরাফি ভাই থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাই, সবাই একটা কথা বলছিলেন যে, আমাদের যে ব্যাটিং সামর্থ্য আছে এবং পুরো টুর্নামেন্টে যেমন খেলেছি, আমাদের পক্ষে এই রান তাড়া করা সম্ভব।’
আপনার মতামত লিখুন :