শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০১৯, ০৯:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৯, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার বাউন্ডুলে প্রধানমন্ত্রী বব হক চলে গেলেন

আহমেদ শাহেদ : অস্ট্রেলিয়ার আধুনিকায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথিকৃৎ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বব হক বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মৃত্যুবরণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে গত শতকের আশির দশকে আধিপত্য বিস্তার করা লেবার পার্টির সাবেক এই নেতা ৮৯ বছর বয়সে নিজ বাসগৃহে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিবিসি।

সম্মোহনী নেতৃত্ব সম্পন্ন বব হোক ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী ববের শাসনামলেই উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তিনি তার শাসনামলে বলেছিলেন, এমন একটি অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন দেখি যেখানে কোনো দ্বিতীয় শ্রেণির অস্ট্রেলিয়ান থাকবে না। তার স্ত্রী ব্লোনচ ডি’আলপিজে এক বিবৃতিতে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা বব হক নিজ গৃহে মারা গেছেন।’

বব হক ১৯৪৭ সালের মাত্যর ১৮ বছর বয়েসে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং লেবার পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে রোডস স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যান। বাউন্ডুলে স্বভাবের বব অক্সফোর্ডে পড়া অবস্থা বিয়ার পানীয় পানের প্রতিযোগীতায় এক অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়েছিলেন। দেশে ফিরে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন এবং ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮৩ সালে লেবার পার্টির নেতা এবং লেবার পার্টি থেকে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

চীনের তিয়েন-আনমেন স্কয়ারে শিক্ষার্থী হত্যার স্মৃতি স্মরণে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ভিতরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক রীতি-নীতি ও সার্বজনীন চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনবদ্য অবদান রেখেছেন এই নেতা। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া থেকে বর্ণবাদ ও ধর্মান্ধতা দূরীকরণে অবদান রেখেছেন তিনি।

তার মৃত্যুতে সাবেক অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড টুইট করে শোক বার্তায় বলেছেন, বব হক অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে একজন ‘জায়ান্ট’। আধুনিক অস্ট্রেলিয়া এবং এর অর্থনৈতিক ও চিকিৎসেবা উন্নয়নের পথিকৃৎ তিনি। এপেকের (এপিইসি) প্রতিষ্ঠাতা বব হোক এশিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নেও ব্যাপক অবদান রেখেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়