মঈন মোশাররফ : পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে এ বছরের ৫ মে পর্যন্ত শিবির থেকে পালানোর সময় ৫৮ হাজার ৫৮৩ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে । কেউ দালালের খপ্পরে পড়ে সমুদ্রপথে মালোশিয়া এবং কেউ কৌশলে বাংলাদেশী পাসপোর্ট বানিয়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, কেউ আবার কক্সবাজার শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসের জন্য শিবির ছেড়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ ১২, ১৩, ১৪ মে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় পুলিশ টেকনাফ, মহেশখালী ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ১০৩ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার একটি বাসা থেকে ২৪ রোহিঙ্গাসহ ২৬ জনকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ৫৬টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। আটক ২৪ রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে টেকনাফের শিবির থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছিলো বলে জানিয়েছে কক্সবাজারের পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ব্রি.জে (অব.) এম সাখওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, রোহিঙ্গা পালানোর বিষয়টি নতুন নয়। এরকম ঘটনা সবসময় ঘটেছে। তাদের কোনো কাজকাম নেই। তারা শুধু ত্রানের উপর আছে। আবার ত্রান কখনো বেশী হয় কখনো কম হয় এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যত এসব কারণেই তারা রোহিঙ্গা শিবির ছেড়ে যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন বিষয় নয়। কাজকরার সুযোগ না থাকা ্এবং শিবির থেকে বের হয়ার বিধিনিষেধ থাকলে এরকম ঘটবেই ।
তিনি আরো বলেন, তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় তারা অবশ্যই চেষ্টা করবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পন্থায় চলে যেতে। অথবা দেশের আনাচে কানাচে গিয়ে অবস্থান করতে। এরকম ঘটনা শুধু বাংলাদেশে নয় সমস্ত দুনিয়াতে তাই হচ্ছে। আবার তাদেরকে রিফিউজি হিসেবেও কাউন্ট করা হয়নি। এই বদ্ধ পরিবেশে তারা থাকবে কী করে।
করণীয় প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমাদের এককভাবে করণীয় কিছুনেই। যত চেষ্টা করা হোকনা কেন এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় । যদি না মায়ানমার সরকারের হৃদয় না বদলায়। তবে এই বিষয়টি খুব কঠিন। দিনে দিনে তারা সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে এবং কম টাকার শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :