কেএম নাহিদ : জাহাজ ভাঙ্গার মতো একটি ঝুঁকিপূর্ণকাজে সরকারি নজনদারি হলেও সব ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। সার্বিক কর্ম পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে বৃস্পতিবার বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজোয়ানা হাসান বলেন, এক কথায় বলতে গেলে পরিবেশের কেনো উন্নতি হয়নি। বরং তাদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। জাহাজ ভাঙ্গার কাজে শ্রমিক সু-রক্ষায় দেশে ভেতর থেকে উদ্যেগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং সুন্দর পরিবেশের জন্য ২০০৯ সালে আদালত একটি রায় দিয়েছে। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে একই বিষয় নিয়ে সরকারের দুই মন্ত্রণালয় দুই রকম বিধিমালা করে। কাগজ পত্রে দেখানো হচ্ছে সব ঠিক হচ্ছে। বাস্তবে তা মোটেও মানা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, জাহাজগুলো যখন চলাচল করে তখন আমরা সেগুলোকে বিষাক্ত বলি না। কিন্তু সেগুলো ভাঙ্গা হয় তা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। তখন সে জাহাজটাকে আমরা বর্জ্যবলি। জাহাজে নানা রকম ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন দ্রব্য সংযোজিতো হয়। ভাঙ্গার সময় সে সব ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙ্গার পর্যায়ে বিষাক্ত জিনিসের মধ্যে একটা হলো ‘অ্যাজবেস্টার’ যা একটা ফোটাও যদি ছড়িয়ে পরে আর তা যদি কেউ নিশ্বাসের সঙ্গে নেয় তার ক্যান্সার হবে। তা ছাড়া যে প্রক্রিয়ায় জাহাজ ভাঙ্গা হয়, তা সনাতন পদ্ধতিতে। যার ফলে জাহাজের বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে এলে তা বিষ্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পরে। আর তখনই দুর্ঘটনা ঘটে, শ্রমিক মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, আদালত তার রায়ে বলেছিলো জাহাজ ভাঙ্গার সময় গ্যাস নিয়ন্ত্রনে উন্নত দেশগুলোই হিমশিম যায়। সেখানে বাংলাদেশের সক্ষমতা খুবই কম। সুতরাং বাংলাদেশে আসার আগে আন্তজার্তিক আইন হলো এসব বর্জ্য যেনো আলাদা করা হয়। তার পর-ই যেনো তা বাংলাদেশে আসতে পারে । সেটা মানা হচ্ছে না। আমাদের ভেতরে কেনো চাপ নেই তাই পরিবেশ উন্নতি হচ্ছে না। পোশাক শিল্পে বায়ারদের দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে কর্ম পরিবেশ নিরাপদ করা হয়েছে। আর একটি বিষয় হলো জাহাজ শিল্পো আধুনিকায়ন হয়নি। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন।
আপনার মতামত লিখুন :