স্বকৃত নোমান : আইন দিয়ে ধর্মকে রক্ষা করা যায় না। কেননা ধর্ম একান্তই ব্যক্তিগত চর্চার বিষয়, আধ্যাত্মিক বিষয়। ধর্ম যখন তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখনই তাকে রক্ষার জন্য অনুসারীরা উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে ধার্মিকরা যখন ধর্মকে রক্ষা করতে যায়, ধর্ম তখন এতোটাই নেংটা হয়ে পড়ে যে, তার দিকে আর তাকানো যায় না। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্মকে রক্ষা করতে যাওয়া মানে আল্লাহ, ঈশ্বর, গডের ক্ষমতাকে খর্ব করে দেয়া। কিন্তু ধার্মিকরা তা বোঝে না। তাদের ধর্মানুভূতি এতোই ঠুনকো যে, কারো একটা কথাতেই তা ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ে।
মুসলিম সন্ত্রাসীরা যখন শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা করে তিন শতাধিক মানুষ হত্যা করে, তখন বরিশাল ক্যাথলিক ডাইওসিসের বিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার চার্চ চত্বরে করছেন সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান। শোকের মুহূর্তে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখলেন কবি হেনরী স্বপন। এতেই বিশপের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে যায়। নানাভাবে তিনি হুমকি দিতে শুরু করেন কবিকে। হুমকি দিয়েই ক্ষ্যান্ত হলেন না, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করলেন। সেই মামলায় আজ গ্রেপ্তার হলেন কবি।
বাংলাদেশে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের ব্যবসাটা একচেটিয়া মুসলমান মৌলবাদীদের ছিলো। এখন দেখছি খ্রিস্টান মৌলবাদীরাও এই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। আমার তো মনে হয় এই অনুভূতি ব্যবসায়ীরা একেকজন মানসিক রোগী। রাষ্ট্রের উচিত তার অসুস্থ নাগরিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কবি হেনরী স্বপনকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই। তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :