শাফায়েতুল ইসলাম : বুধবার বিকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দি গ্রহণের পর বিচারক কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের স্বর্ণলতা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম রফিক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রফিকুল ইসলাম তার জবানবন্দিতে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেন এবং তানিয়াকে কিভাবে বাস থেকে নামিয়ে কটিয়াদী হাসপাতালে নেওয়া হয় এর বিবরণ দেন। তবে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে নিজেকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার বাস চালকের সহকারী লালন মিয়া এবং গত শনিবার বাসের চালক নূরুজ্জামান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে চলন্ত বাসে চালক নূরুজ্জামান ও সহকারী লালনসহ তিনজন মিলে তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে মামলার অপর দুই আসামি খোকন মিয়া ও বকুল ওরফে ল্যাংড়া বকুলকে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ মে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটে। ঐদিন রাতেই পুলিশ বাসের চালক নুরুজ্জামান ও হেলপার লালন মিয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :