শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৯, ১১:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৯, ১১:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত ৫ বছরে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে চার গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করেছে বার্সেলোনা

স্পোর্টস ডেস্ক : স্পেনের গ-ি ছাড়িয়ে পুরো ইউরোপীয় ফুটবলে নিজেদের শক্তি দেখিয়ে একটি অবস্থান তৈরি করেছে এফসি বার্সেলোনা। ইতিহাসে একমাত্র ক্লাব হিসেবে যাদের আছে দুটি ট্রেবল জয়ের ইতিহাস। সেই সাথে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২০০৯ সালে বার্সা পায় তাদের ইতিহাসের সেরা দল। সেই বার্সেলোনায় নজর ফিরিয়ে নিচ্ছে তাদের একাডেমি থেকে! শুধু তাই নয় পুরোপুরি ভরসা বাড়াচ্ছে টাকার উপর। অর্থাৎ বিনিয়োগই এখন বার্সার মূল ভরসা।

বার্সার নিজস্ব ফুটবল একাডেমী লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা এক ঝাঁক ফুটবলার নিয়ে গড়ে ওঠে ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল। আর বার্সার এই ফুটবলারদের নিয়েই স্পেন জেতে টানা দুই ইউরো আর এক বিশ্বকাপ।

গার্দিওয়ালার তিকিতাকা, আর বার্সার গোলকিপার থেকে আক্রমণ ভাগ পর্যন্ত লা মাসিয়ার ফুটবলার। এই দিয়েই দাবিয়ে রাখলেন ফুটবল বিশ্বকে। গোলকিপার পজিশনে ভিক্টর ভালদেস। লা লিগার ইতিহাসের সেরা গোলরক্ষক হওয়ার দৌড়ে টেক্কা দিয়েছেন ইকার ক্যাসিয়াসকে।

ডিফেন্সে কিংবদন্তী কার্লোস পুয়েল আর জেরাড পিকে। মিডফিল্ডের অস্ত্র জাভি-ইনিয়েস্তার সঙ্গে সার্জিও বুস্কেটস। ফরোয়ার্ডে যার নাম না নিলেই নয় লিওনেল মেসি। তবে এ যেন এখন কেবল অতীত। সেই জৌলুস এখন আর নেই লা মাসিয়ার। এক সময় রিয়াল মাদ্রিদ যেমন গ্যালাক্টিকোদের দলে ভিড়িয়েছেন কাড়ি কাড়ি অর্থ দিয়ে। সে পথে এখন আছে বার্সেলোনা। আসছে না লা মাসিয়া থেকে এখন আর আগের মতো জাভি, ইনিয়েস্তা কিংবা নতুন কোন মেসি।

তাই তো দলের প্রয়োজনে একের পর এক রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করে কিনছেন নতুন নতুন ফুটবলার। ২০১৩ সালে নেইমার জুনিয়রকে সান্তোস থেকে দলে ভেড়ায় ৫৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। যদিও পরবর্তীতে কোর্টে বার্সা প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন নেইমারকে দলে ভেড়াতে খরচ হয়েছিল ১১৪ মিলিয়ন ইউরো। এরপর লিভারপুল থেকে ৮২ মিলিয়ন ইউরোতে সুয়ারেজকে আনা হলো। ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে যুক্ত করা হয় আন্দ্রে গোমেজকে।

তবে বার্সা সব থেকে বেশি অর্থ খরচ করেছে ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে। সে মৌসুমেই ক্লাব রেকর্ড ১৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে লিভারপুল থেকে কৌতিনহোকে দলে ভেড়ায় বার্সা। আর ১৯ বছর বয়সী উসমান দেমবেলের জন্য বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে দিয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো। সেই সাথে আছে আরও বেশ কিছু ট্রান্সফারও। ২০১৮-১৯ মৌসুমেও ফুটবলার কেনাকাটার বাজারে চুপ করে বসেছিল না বার্সা। ম্যালকম আর ক্লেমেন্ট লেংলেটেকে কিনেছিলো।

আগামী মৌসুমের জন্যও ইউরোপের দলবদলের মৌসুমে বার্সা ব্যস্ত সময় পার করছে। আয়াক্স থেকে মিড ফিল্ডার ডি ইয়ংকে ৮০ মিলিয়নের বিনিময়ে চুক্তি করে ফেলেছে। গুঞ্জন উঠেছে ডি লিটকেও ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে দলে ভেড়াবে কাতালানরা। আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে যুক্ত হতে পারেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার অ্যান্তোনিও গ্রীজম্যানও।

২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা নতুন ফুটবলার কেনার পেছনে খরচ করেছে প্রায় ১.০৭ বিলিয়ন ইউরো। যা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে প্রায় চার গুন বেশি। তাহলে কি বলতেই হবে যে, একাডেমি ছেড়েটাকা বিনিয়োগেই বেশি নজর দিয়েছে কাতালানরা?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়