শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৯, ০৮:১৮ সকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৯, ০৮:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া ১৫০ জনের মধ্যে ১৩০ জন বাংলাদেশি, এখনও ৩৯ জন নিখোঁজ

মহসীন কবির:  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া ১৫০ জনের মধ্যে ১৩০ জন বাংলাদেশি। এখনও ৩৯ জন নিখোঁজ। এদের মধ্যে ২২ জন সিলেট অঞ্চলের। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, একদল আন্তর্জাতিক চক্র এই মানবপাচারের সাথে জড়িত। ১৪ যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। যে চারজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, তাঁদের একজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়ার উত্তম কুমার দাস। তিনি গৌতম দাসের ছেলে। ছবি পাঠিয়ে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে উত্তম কুমারের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই দিন (গত বৃহস্পতিবার) দুটি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর হয়ে প্রায় ১৩০ জন ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেন। এতে ১০০ জন ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক। এর মধ্যে একটি নৌকা নিরাপদে পৌঁছে যায় বলে জানা গেছে। অন্যটিতে ৭০ থেকে ৮০ জন ছিলেন। এই নৌকাটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

তিউনিসিয়া থেকে পাঠানো বার্তার উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উদ্ধার করা ১৪ জনের মধ্যে চারজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই চারজনের মধ্য দুজনের শরীরের বড় অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। কারণ, এঁরা তেলে ড্রাম ধরে ভূমধ্যসাগরে সাত থেকে আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন। অন্য দুজন আঘাতের কারণে আহত হয়েছেন। অন্য ১০ জন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের আশ্রয়শিবিরে আছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এসব নাগরিক চার থেকে মাস আগে লিবিয়া গেছেন। লিবিয়া যাওয়ার আগে দুবাই, শারজা, আলেকজান্দ্রিয়া হয়ে ত্রিপোলিতে পৌঁছান তাঁরা। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে পৌঁছার পর মানব পাচারকারীরা তাঁদের আটকে রেখেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের মারধর করে বাংলাদেশের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন মানব পাচারকারীরা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত নোয়াখালীর তিন ভাইয়ের একটি চক্র ও মাদারীপুরের দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর সিলেট থেকে যাঁরা গেছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বেশ কিছু দালালকে চিহ্নিত করেছেন।

তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। গত সোমবার রেড ক্রিসেন্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যক্তিদের পরিচয় জানানো হয়। তাঁরা হলেন নোয়াখালীর চাটখিলের নাসির, গাজীপুরের টঙ্গীর কামরান, শরীয়তপুরের পারভেজ, কামরুন আহমেদ, মাদারীপুরের সজীব, কিশোরগঞ্জের জালাল উদ্দিন ও আল-আমিন; সিলেটের জিল্লুর রহমান, লিমন আহমেদ, আবদুল আজিজ, আহমেদ, জিল্লুর, রফিক, রিপন, আয়াত, আমাজল, কাসিম আহমেদ, খোকন, রুবেল, মনির, বেলাল ও মারুফ; সুনামগঞ্জের মাহবুব, নাদিম ও মাহবুব এবং মৌলভীবাজারের শামিম ও ফাহাদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়