হ্যাপি আক্তার : ফুটপাত থেকে সুপারশপে খাদ্যের নামে অখাদ্যে বিক্রির কারণে হাইকোর্টে নিষিদ্ধ সেই ৫২টি পণ্য এখনো বাজারে ঘুরছে। সুপারশপগুলো তুলে নিলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরদম। পাইকারী বাজার থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার হয়নি বিএসটিআই-এ ভেজাল প্রমাণিত হওয়া নামী-বেনামী ব্র্যান্ডের ওইসব পণ্য। এ বিষয়ে বিক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বলছে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ হাতে পেলেই পণ্যগুলো পুরোপুরি তুলে নেয়া হবে।- চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।
রাজধানীর একটি সুপার শপে খুঁজে পাওয়া গেলো না এসিআই ও মোল্লার সল্টের লবণ। বিদায় হয়েছে তীর, পুষ্টি, রুপচাঁদার সরিষার তেল, কিংবা ফ্রেশ ও প্রাণের গুড়া হলুদের মতো মানহীন পণ্যগুলো। ক্রেতারা বলছেন, বাকি অন্যান্য অনেক পণ্য আছে যা অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সেগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। শুধু আদালত নয়, সরকারেরও পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
তবে মহল্লার খুচরা বাজারে আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ভেজাল তালিকাভুক্ত পণ্যগুলো। হওয়া মধুবন ও প্রাণ লাচ্ছা সেমাই, সান চিপস রয়ে গেছে মুদি দোকানগুলোতে।কিন্তু লবণ কেনা-বেচায় ঘটছে বিপত্তি। কেননা যে দুটি ব্র্যান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় বাজারে লবণের বিকল্প কম। তাই অগত্যা সেগুলোই কিনছেন কেউ কেউ।
দোকানীরা বলছেন, সারা দেশেই মানহীন এই পণ্য চলছে। কোম্পানিগুলো বন্ধ করলেই এই পণ্যগুলো বাজারে দেখা যাবে না। তবে বিপত্তি হলো একজন ভোক্তা হিসেবে আমরা কি খাবো।এদিকে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজারে ব্যবসায়ী ৫২টি পণ্য বাজার থেকে তুলে নিলেও মিলছে কোনো কোনো দোকানে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যগুলো কে, কার কাছ থেকে ও কিভাবে প্রত্যাহার করা হবে তা স্পষ্ট নয়।
এসব পণ্যের ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ পেলেই ব্যবস্থা নেবে তারা।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কোম্পানিগুলো সরিয়ে না নিলে আমাদের যে টিম আছে তা কাজ করবে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, কেবল সাময়িকভাবে প্রত্যাহারে সমাধান আসবে না। ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনতে হবে কঠোর আইনে আওতায়।বিএসটিআই’র রিপোর্ট এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর ৫২টি ভেজাল পণ্য সম্পর্কে সচেতন থাকছেন ক্রেতারা। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :