জাবের হোসেন : ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার নির্ধারিত সময়ের ১৮দিন পর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। উৎপাদন অনুপাতে সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা একেবারে নগণ্য হওয়ায় ধানের বাজারে এর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল রপ্তানির পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বাম্পার ফলনের দোহাই দিয়ে ৪শ ২০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে সাড়ে ৫শ টাকায় কেনা ধানে মজুদের পাহাড় গড়ছে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী ও মিল মালিকরা। এ অবস্থায় খাদ্য বিভাগ নির্ধারিত সময়ে বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ শুরু করতে না পারায় মূল্য বিপর্যয়ের মুখে উৎপাদন ব্যয়ের অর্ধেকও তুলতে পারছে না কৃষক।
কৃষকরা বলেন, ১ মন ধানের টাকা শ্রমিকের মজুরি হিসেবে দিতে হয়। ধান বিক্রি করে ৪০০ বা ৫০০ টাকা পাই। তাতে তো আমাদের টাকা উঠবে না।
রংপুর কৃষক আন্দোলনের আহবায়ক নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, সরকার কৃষকের ধান কিনে কৃষকের বাড়িতে রাখতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুরের উপপরিচালক ড. সরোয়ারুল হক বলেন, সরকারের একটা লক্ষ্যমাত্রা থাকে। গোডাউনের ধারণ ক্ষমতারও একটা বিষয় থাকে। সব ধান সরকারের একার পক্ষে কেনা সম্ভব না।
চাল ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমাদের উচিৎ হবে বিদেশে বাজার খোঁজা। যেন আমাদের চাল রপ্তানি করা যায়। সম্পাদনা: কায়কোবাদ
আপনার মতামত লিখুন :