রাশিদ রিয়াজ : ১৪ বছর বয়সে প্রথমবার বিয়ে হয়েছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা এই মেয়েটির। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর তার বাবাই তাকে ফের বিয়ে দেওয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় এক বর্বরের কাছে। হাসপাতালে বিছানায় সারা গা ব্যান্ডেজে মোড়া সুনীতা (ছদ্ম নাম) জানালেন, ‘সবাই টের পেয়ে গিয়েছিল যে আমাকে রেপ করা যায়। তাই যখন যে খুশি এসে ধর্ষণ করে যেত।’ সারা শরীর পুড়ে যাওয়ায় সুনীতার এখন একটাই সান্তনা যে আর কেউ তাকে ধর্ষণ করবে ন।
শরীরের ৭৫%-৮০% পুড়ে গিয়েছে। গোটা গায়ে অসহ্য যন্ত্রণাা। কিন্তু মনের কষ্ট আরও অনেক বেশি। তার মধ্যেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন হাপুরের সুনীতা। দ্বিতীয় স্বামী সুনীতার ওপর ভয়াবহ অত্যাচার চালাত। বেধড়ক মারধর করা, দিনের পর দিনে খেতে না দেওয়া, কাজের লোকের মতো করে ঘরের সব কাজ করানো তো ছিলই, এর সঙ্গে নিজের বন্ধুদেরও ডেকে এনে তাদের দিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করাত সে।
গত পাঁচ বছরে অন্তত ২০ জন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন সুনীতা। পুলিশের কাছে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টো তার গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তার দ্বিতীয় স্বামী। এই অবস্থায় রিষভ নামে একজনের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালান সুনীতা। সুনীতার তিনটি সন্তান। দুই সন্তান তার দুই স্বামীর ঔরসজাত এবং তৃতীয়টি কোনও এক ধর্ষকের। এই তিন সন্তানকে নিজের কাছে আটকে রাখে সুনীতার দ্বিতীয় স্বামী। এদের ও সুনীতাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে সে। আর সহ্য করতে না পেরে ২৮ এপ্রিল নিজের গায়ে আগুন দেন সুনীতা। রিষভ জানিয়েছেন সুনীতা সেরে উঠলে এবং আইনি ডিভোর্স হয়ে গেলে তারা বিয়ে করবেন। এই অবস্থাতেও সুনীতার পাশ থেকে তিনি সরবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তার সেরে উঠতে এখনও অনেক দেরি বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। এই সময়
আপনার মতামত লিখুন :