বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জের নিয়ে মামীকে নৃশংস ভাবে হত্যার পর নিজেও আত্নহত্যা করেছে ভাগ্নে। মার্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে ।
নিহত মামী আলেয়া বেগম (৩৩) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের স্ত্রী। ভাগ্নে আপেল (২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আপেল মিয়া ছোট বেলা থেকে তার নানা তোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি হবার সুবাদে সেখানে থেকেই কাঠমিস্ত্রির কাজ করতো আপেল । সেখানে থাকাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে মামা সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে । বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মামী এবং ভাগ্নে আপেলকে নিয়ে বিচার শালিশ পর্যন্ত গড়ায়। এসময় দু’জনাকে সতর্ক করে দেয়া হয়। এতে মামী নিজেকে সংশোধন করার প্রয়াসে জুয়েলের সাথে মেলা মেশা বন্ধ করে দেয়। এরপরেও আপেল মামীর সঙ্গ পেতে মামীর উপর প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট থাকে। রমজান মাসে আপেলের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মামীর উপর ক্ষিপ্ত হয় আপেল।ওই ঘটনার জের নিয়ে সোমবার রাতে ওই বাড়িতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে ।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন যে যার মত কাজে চলে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির উঠানের পাশে টিউবওয়েল পাড়ে মামি আলেয়ার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় ভাগ্নে আপেলকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন। এরএক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে ভাগ্নে আপেলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আপেল তার লালশা মেটাতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে তার মামী আলেয়ার ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপুর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। পরে অনুশোচনার পর ওই বাটাল দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে আত্নহত্যা করে। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্ত মাখা বাটাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :