শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০১৯, ১০:৪৭ দুপুর
আপডেট : ১৪ মে, ২০১৯, ১০:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পর পর দুর্ঘটনায় সাক্ষীরা নিহত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শাস্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে নিয়ে চুপ থেকেছে সব সরকারই

মাকসুদা লিপি: ১৯৭৭-এ ভারতে জনতা পার্টির ঐতিহাসিক জয়ের পরে কংগ্রেস পার্টি যখন বিরোধীদের আসনে বসল, তখন নতুন সরকার লালবাহাদুরের মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করলেন। অধ্যক্ষ হলেন সেই রাজনারায়ণ। কমিটি কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, কমিটির তলবে সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন ডাঃ চুঘ। কিন্তু পথেই একটি ট্রাকের ধাক্কায় নিহত তিনি নিহত হলেন। তার স্ত্রী ও এক পুত্রও মারা গেল, কিশোরী কন্যাটি প্রাণে বাঁচলেও মারাত্মক জখম হয়। সাংসদ জ্যোতির্ময় বসু বলেছিলেন, ট্রাক প্রথমে গাড়ির পিছনে আঘাত করে, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাপ করতে চালকের আসন থেকে নেমে আসেন চুঘ, তখন ট্রাকটি ঘুরে এসে তাকে মারে। অর্থাৎ তার বাঁচার কোনও উপায় ছিল না। এবেলা

সেদিন মাঝরাতে ভারতে আছড়ে পড়েছিল দুঃসংবাদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুরহস্য আজও মেটেনি। ওই দিনই কমিটির ডাক পেয়েছিলেন বৃদ্ধ রামনাথও। কমিটির কাছে যাওয়ার আগে তিনি বরাবরের অভ্যাস মতো ১ নম্বর মোতিলাল নেহর মার্গে ললিতা শাস্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আম্মা অনেকদিন ধরে বুকের মধ্যে বোঝা নিয়ে ঘুরছি, আজ সব বলে দিয়ে হালকা হব। কিন্তু তাকে হালকা হতে দেওয়া হয়নি। মোতিলাল নেহরু মার্গ থেকে সংসদ ভবন হাঁটা পথ। পথেই একটি বাস তার উপর দিয়ে চলে যায়। শক্ত প্রাণ রামনাথের। তিনি বেঁচে রইলেন, কিন্তু তার দু’টি পা কেটে ফেলতে হলো। কিন্তু শকে বৃদ্ধের স্মৃতিভ্রংশ হয়ে গেল রামনাথ আর কোনও দিন তাসখন্দের গল্প বলতে পারলেন না।

উল্লেখ্য, পাক-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী একসঙ্গে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করতে। রাশিয়ায় তার অকাল মৃত্যু হয়।

দু’টি ঘটনা যে নিছক পথ দুর্ঘটনা নয়, তা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানী হতে হয় না। সেই জন্যই প্রশ্নটা থেকে যায় ডাঃ চুঘ বা রামনাথ এমন কী জানতেন, যার জন্য তাদের এত মূল্য দিতে হলো?

দু’দশক পরে আবার এমন একটা ঘটনা ঘটল, যাতে গল্পে অন্য মাত্রা যোগ হয়ে গেল। ১৯৯৮-এর ফেব্রæয়ারিতে রাশিয়ান পত্রিকা ‘কমসোমলস্কায়া প্রাভদা’-তে একটি ছোট্ট খবর বেরোয়। খবরটি হল ১৯৬৬ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী তাসখন্দে মারা যাওয়ার পরে আহমেদ সাত্তারভ নামক এক রাঁধুনিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ‘লন্ডন টেলিগ্রাফ’-এর মস্কো সংবাদদাতা খবরটি দেখে তার কাগজের জন্য পাঠিয়ে দেন। পরের দিনই খবরটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ললিতা শাস্ত্রীর প্রশ্নটা আবার মাথা চাড়া দেয় রাশিয়ানরা কি শাস্ত্রীর শরীরে বিষপ্রয়োগের সম্ভাবনার কথা জানত?

যে শাস্ত্রী হৃদরোগেই মারা গিয়েছেন। তা ছাড়া শব-ব্যবচ্ছেদ না করে ডাক্তারেরা কী করে বুঝলেন যে বিষের কোনও ভূমিকা ছিল না? তাহলে শাস্ত্রীজির শরীরের ক্ষতচিহ্নগুলি কি পোস্টমর্টেমের দাগ ছিল?

শাস্ত্রীজির মৃত্যু নিয়ে এ রকম অনেক প্রশ্ন উঠে আসে। যেমন, দেশের সংসদে ভারত সরকার বার বার তার প্রশস্তি গেয়েছে। লালবাহাদুরের গৃহসচিব ও পরবর্তী জীবনে রাজ্যপাল লালনপ্রসাদ সিংহ তার লেখা এক বইতে জানিয়েছেন রুশ কর্তৃপক্ষ শাস্ত্রীজির মৃত্যুর ময়নাতদন্ত করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিদেশমন্ত্রী কর্ণ সিংহ অনুমতি দেননি। তিনি নাকি বলেছিলেন, দেশবাসী মনে করবে দেহ অপবিত্র হয়ে গিয়েছে। অথচ সংসদে এই প্রশ্নের উত্তরে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় গৃহমন্ত্রী বলেছিলেন সেই সময়ে কোনও রকমের পোস্টমর্টেমের কথাই ওঠেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়