হ্যাপি আক্তার : নজনদারি বাড়ানোর কারণে ২-৩ বছর ধরে অভিবাসীদের তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়া কিছুটা কমেছে। তার পরেও চলতি বছর প্রায় ১৬ হাজার উদ্বাস্তু ইউরোপে ঢুকেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ইউএনএইডিআর। এর মধ্যে প্রথম চার মাসই প্রাণ হারিয়েছেন ১৬৪জন।- ডিবিসি নিউজ
গত বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় প্রতিদিন গড়ে ৬জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত ১ দশকে অন্তত ১ লাখ বাংলাদেশি ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছে। তার মধ্যে শুধু ২০১৫ সালেই ছিলো ১৮ হাজার। ভূমধ্যসাগর দিয়ে যত মানুষ প্রবেশ করেছে ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ থাকছে।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এমন অনেক লোক পেয়েছি যাদের আত্মীয়-স্বজন ইউরোপে আছেন তারা বলেন, যে কোনো মূলে এখানে চলে আয়। আসার পর সব দায়-দায়িত্ব আমার। এই মনস্তাত্তি¡ক ও ইউরোপের স্বপ্নটাই মানুষকে এই ভয়াবহ যাত্রার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার পথে ইউরোপের সহজ। তবে খুব কষ্টসাধ্য। কোনো রকমে তারা মরক্কো বা লিবিয়া পৌঁছাতে পারলেই হলো। এর পর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েই ইউরোপ। আবার যুদ্ধ বিধস্ত ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ায় আশ্রিত ও কর্মরত বাংলাদেশিরাও উন্নত জীবন যাপনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন।
বায়রা’র সহাসচিব শামীম চৌধুরী নোমান বলেছেন, মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং এটি শুধু আমাদের দেশেই নয়। সম্পূর্ণ চ্যানেলটিকেই ডিসকাভার করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে লিবিয়ায় বাংলাদেশে দূতাবাস আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। যেখানে অভিবাসী ও আশ্রিতদের অবৈধ অভিসাবনে নিরুৎসাহী করা হয় এবং দেশে ফিরে গিয়ে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বিদেশে যেতে পুনরায় উৎসাহিত করা হয়। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :