শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০১৯, ০৭:১০ সকাল
আপডেট : ১৪ মে, ২০১৯, ০৭:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে ফরমালিন না থাকায়, খাদ্যে মেশানোরই সুযোগ নেই, বললেন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা

মঈন মোশাররফ : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহবুব কবীর মঙ্গলবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, এখন দেশে ফরমালিনই নেই। সুতরাং ফরমালিন মেশানোর সুযোগও নেই। ২০১৫ সালে এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, ফরমালিন ফল-মূল সংরক্ষণে কাজ করে কিনা। প্রোটিন বন্ডেজ ছাড়া সেলুলোজ বন্ডেজে ফরমালিন দিলেও কাজ করবে না। কাজেই কেউ যদি অতীতে শাক-সবজি, ফল-মূল সংরক্ষণে ফরমালিন দিয়েও থাকেন, তা কাজে আসেনি। আসবেও না।

তিনি আরো বলেন, এমনিতে ন্যাচারালি ফরমাল ডিহাইড থাকে। এটা সহজাত। প্রত্যেকটি ফলে নিজস্ব ফরমাল ডিহাইড ক্রিয়েট হয়, যা ফলকে পাকতে সহায়তা করে। নয়তো ফল পাকতো না। আর আমদানি করা ফল, যেমন আপেল সংরক্ষণের জন্য ওয়াক্স কোটিং দেয়া হয়। আমাদের যে ধারণা দেশি ফল-মূল এবং বিদেশ থেকে আনা ফলে ফরমালিন দেয়া হয়, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা আমাদের একটা আতঙ্ক। আর এ কারণে আমরা জাতি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। মাছের ক্ষেত্রে কেউ যদি মাছ ফরমালিনে চুবিয়ে উঠিয়ে রাখে, তাহলে বৈজ্ঞানিকভাবেই ফরমালিন কাজ করার কথা নয়। ২৪ ঘণ্টা ফরমালিনের মধ্যে চুবিয়ে রাখতে হবে। তাহলে বন্ডেজ ক্রিয়েট হবে। আর তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ থাকায় এটাকে ফরমালিনে ডুবালে লুকানো যায় না।

তাহলে এত যে অভিযান, এত ফল-মূল ধংস করা হলো, তা কি ভুল ছিলো? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ফরমালিন পরীক্ষার কিট হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখা গেল আমাদের কিট ঠিক ছিলো না। তবে সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ওই অভিযান হয়েছে। তাই সেটা নিয়ে আমার কথা বলা ঠিক হবে না। যেহেতু ফলে ন্যাচারালি ফরমাল ডিহাইড তৈরি হয়, তাই স্বীকৃত মেশিন দিয়ে মাপলেও ফলে ফরমালিন পাওয়া যাবে। আমাদের জানতে হবে, ক্ষতিকারক মাত্রা কত। আবার এই ক্ষতিকারক মাত্রাও সুনির্দিষ্ট করা নেই । এটা সর্বোচচ ১০০ পিপিএম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। তখন হয়ত কেউ বুঝে-না-বুঝে ফরমালিন ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তবে তা কাজে আসেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়