আরতাফ পারভেজ : দেশে এ মুহূর্তে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় মাধ্যমেÑ উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। মে মাসেই এই পরীক্ষা শেষ হবে। কিন্তু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তাময় আসল দিনরাত্রি শুরু হবে এর পরই কেবল। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিতভাবে একই দিনে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা, হয়রানি ও আর্থিক ব্যয় অনেক কমাতে পারে। বহু বছর ধরে এটা এক বড় জনদাবি।
এইরূপ পরীক্ষা কীভাবে হবে তার প্রক্রিয়া-পদ্ধতি-ধরন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই ব্যাপারটি এগোনো যাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বৈরী অবস্থানের কারণে। সাধারণভাবে যা বোঝা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারিদের আয়-রোজগার কমবে বলে এই দাবিটি পূরণ হচ্ছে না। সরকারও হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে অজনপ্রিয় হওয়ার শঙ্কায় এক্ষেত্রে চাপ দিচ্ছে না। বাংলাদেশে গোষ্ঠীস্বার্থে কীভাবে জরুরি কাঠামোগত সংস্কারগুলো আটকে থাকে এবং কোটি-কোটি তরুণ-তরুণী কীভাবে জিম্মি হয়ে আর্থিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বড় নজির শিক্ষার উচ্চস্তরের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত জনস্বার্থবিরোধী এই পরিস্থিতি।
অজ্ঞাত কারণে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলোও এই দাবিটি নিয়ে সোচ্চার নয়। কেন তরুণ-তরুণীদের এইরূপ একটা প্রাণের দাবি তাদের এজেন্ডা নয়- সেটা বোঝা মুশকিল। তবে অতি প্রয়োজনীয় এই বিষয়টি নিয়ে কেবল ছাত্রঅঙ্গনই নয় সমাজের সকলেরই কথা বলা উচিত। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেও এক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে আওয়াজ ওঠা দরকার। আজ, কাল কিংবা পরশু সকল পরিবারেই উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ একজন তরুণ-তরুণী তৈরি হবে। তার উচ্চশিক্ষার আকাক্সক্ষাকে কম ব্যয়বহুল ও কম ভোগান্তিমূলক ভবিষ্যতের পানে পথ করে দিতে হলে দেশের সকলেরই উচিত এক্ষেত্রে সোচ্চার হওয়া। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :