মৌরী সিদ্দিকা : যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা আইন বাতিলের দাবিতে অভিনব এক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মি টু আন্দোলনের নেত্রী অ্যালিসা মিলানো। আন্দোলনের নাম দিয়েছেন ‘সেক্স স্ট্রাইক বা যৌন ধর্মঘট। -ডয়েচে ভেলে
শুক্রবার টুইটারে এই সেক্স স্ট্রাইক বা যৌন ধর্মঘটের ডাক দেন মি টু আন্দোলনের নেত্রী।
অ্যালিসা টুইটে লিখেছেন, ‘আমাদের প্রজনন অধিকার ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। যতক্ষণ নারীরা তাদের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পায়, ততক্ষণ আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারি না। আমার সাথে যোগ দিন, শরীরের উপর নিজেদের স্বাধীনতা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা গড়ব না। আমি সেক্স স্ট্রাইকের ডাক দিচ্ছি। ছড়িয়ে দিন এটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার টুইটটিতে প্রায় ৪৫ হাজার লাইক পড়েছে, রিটুইট হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার বার।
এদিকে গর্ভপাত নিষিদ্ধের নতুন আইন কার্যকর করা হলে জর্জিয়ায় কোনো ধরনের কাজে অংশ না নেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন অরো অনেক চলচ্চিত্র তারকা। মিলানোর নেতৃত্বে এই দলে আছেন অ্যালেক বালডউইন, ডন চিয়াডল, বেন স্টিলার, মিয়া ফারো ও অ্যামি শুমার।
সেখানকার নতুন আইন অনুযায়ী ভ্রূণে হৃদস্পন্দন এলে গর্ভপাত করানো যাবে না। হৃদস্পন্দন সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে আসে৷ গত মঙ্গলবার অঙ্গরাজ্যটির গভর্ণর ব্রায়ান ক্যাম্প এই আইনে স্বাক্ষর করেন।
‘সেক্স স্ট্রাইক’ কী :
মিলানো তার নতুন কর্মসূচীর বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, পুরো দেশজুড়ে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয়েছে। এটি আসলে মানুষকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, আমাদের শরীর এবং সেটি আমরা কীভাবে ব্যবহার করব সে বিষয়ে আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আছে।’ তবে প্রতিবাদ কিংবা রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যৌন সম্পর্ক স্থগিত করার বিষয়টি ইতিহাসে এবারই প্রথম নয় বলেও জানান তিনি। ১৬০০ সালে অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধ ঠেকাতে উত্তর অ্যামেরিকার আদিবাসীদের জোট ইরোকুয়োইস-এরনারীরা যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকৃতি জানান। এছাড়া ২০০৩ সালে লাইবেরিয়ার নারীরা দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ বন্ধেও ‘যৌন ধর্মঘট’ করেছেন বলে জানিয়েছেন মিলানো।
আপনার মতামত লিখুন :