শাহীন চৌধুরী: শিগগিরই সাড়ে ১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল কিনবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আর এই তেল ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসি চলতি বছর জুলাই-ডিসেম্বার সময়ের জন্য ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টন পরিশোধিত তেল আমদানি করতে যাচ্ছে। এজন্য দরপ্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৬ই মে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিপিসি সূত্র জানায়, নতুন করে যে তেল আমদানি করা হবে তার মধ্যে ১১ লাখ ৫০ হাজার টন ডিজেল। এছাড়া এক লাখ ১০ হাজার টন জেট ওয়েল, এক লাখ টন ফার্নেস ওয়েল এবং ১৫ হাজার টন অকটেন। দরপ্রস্তাবে অংশ নিতে প্রতিষ্ঠানকে বছরে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন তেল শোধনের ক্ষমতা থাকতে হবে। আর বছরে কপক্ষে ব্যবসায়ের লেনদেন হতে হবে তিন শত কোটি ডলার।
আগ্রহী প্রস্তাবদাতাদের অবশ্যই গত তিন বছরে অন্তত ২০ লাখ টন পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের সন্তোষজনক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তেল সরবরাহকারীরা চার, তিন, দুই বা সকল গোষ্ঠীর জন্য কোনও বিড জমা দিতে সক্ষম হবেন। বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ ৫০ হাজার টন ডিজেল, ২০ লাখ টন ফার্নেস তেল, তিন লাখ ৫০ হাজার টন জেট জ্বালানি এবং ৩০ হাজার টন অকটেন আমদানি করে।
সূত্র জানায়, আমদানি করা তেলের প্রায় অর্ধেক খোলা দরপত্রের মাধ্যমে এবং বাকি অর্ধেক সরকারের সাথে সরকারের মাধ্যমে আলেচনা করে আমদানি করা হয়। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহকারী আটটি কোম্পানির সাথে পরিমার্জিত তেল আমদানির চুক্তি রয়েছে।
বিপিসি কুয়েত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, মালয়েশিয়ার পেটকো ট্রেডিং লাবুয়ান কোম্পানি, এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি, পেট্রোচিন সিঙ্গাপুর, চীনা জেনহুয়া তেল কোম্পানি লিমিটেড, ভিয়েতনাম পেট্রলিমক্স সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ন্যাশনাল অয়েল কর্পোরেশন এবং ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিক পুসকো এর কাছ থেকে তেল নিয়ে থাকে।
সরকারি সংস্থা আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কো-এর কাছ থেকে প্রায় সাত লাখ টন অপরিশোধিত এবং সৌদি আরামকো থেকে প্রায় সাত লাখ টন আরব লাইট এর নিজস্ব শোধনাগার থেকে আমদানি করে থাকে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইস্টার্ণ রিফাইনারী দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ চলছে। এটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে পরিশোধিত তেলের চেয়ে অপরিশোধিত তেল আমদানি বেড়ে যাবে। আর সেক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের দামও কম পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :