সৌরভ নূর : গ্রীষ্মকাল আসলেই রাজধানীজুড়ে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। অনেক এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের পানিও পাওয়া যায় না। কেন এ ধরনের সংকটের সৃষ্টি হয়? গ্রীষ্মকালের প্রভাব, নাকি ওয়াসা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মকালে পানির চাহিদা বেশি থাকে, ব্যবহারের পরিমাণও বেড়ে যায়।
ওয়াসা যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করে চাহিদার তুলনায় তা কম। ফলে সংকটের সৃষ্টি হয়। আবার অনেক সময় ওয়াসার পানি বিতরণের ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকে না। কোনো কোনো এলাকায় জনসংখ্যার আধিক্য এতো বেশি যে, পরিমাণমতো পনি সাপ্লাই না থাকায় সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। ওয়াসা হয়তো গাড়ির মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিতে পারে কিন্তু সামগ্রিক কাজের পানির ব্যবস্থা করা সাময়িকভাবে ওয়াসার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এই রোজার মধ্যে যেকোনো মূল্যে তাদের পানির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এটা ওয়াসার দায়িত্ব ও অঙ্গীকার সমতুল্য।
তিনি আরো বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াসার যেটা করা উচিত তাহলো যেসব এলাকাই পানির ঘাটতি রয়েছে সেসব এলাকাই বিশেষ নজর দেয়া। এলাকা বিশেষ এবং সেখানে কি পরিমাণ জনসংখ্যার বসবাস তার উপর বিবেচনা করে ওয়াসার উচিত পানি বণ্টন করা। একইসঙ্গে নজরদারি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে অবৈধভাবে যে পানি সরিয়ে ফেলা হয় কিংবা বিক্রি করা হচ্ছে সে ব্যাপারে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সামগ্রিকভাবেই ব্যবস্থাপনার উপর নজর দিতে হবে এবং তদারকি বাড়াতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :