শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০১৯, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ১৩ মে, ২০১৯, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষায় জিডিপির কম করে হলেও ৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত

শেখ আদনান ফাহাদ : আমার কয়েকজন বন্ধু আছে ইউএনও। ছোট ভাই পর্যন্ত ইউএনও আছে। অ্যাডমিন ক্যাডারে প্রচুর ছোট ভাই-বোন, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন আছে। আমার বক্তব্য আপনারা ব্যক্তিগতভাবে নিবেন না। আমি সিস্টেম নিয়ে বলছি। ইউএনওরা যদি এক কোটি টাকা দামের গাড়ি পায় আমার কোনো আপত্তি নেই। বরং আমি পুলকিত এই ভেবে যে, সম্পর্কের খাতিরে কোনো কোনো ইউএনও আমাকেও তাদের দামি গাড়িতে কোনো এক বিরল ভাগ্যের মুহূর্তে চড়তে দিবেন। সবাই গাড়ি পাবে, বাড়ি পাবে এজন্যই তো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন। ইউএনওরা এমনিতেই প্রচুর সুযোগ-সুবিধা পান। ইউএনও, ডিসিরা অনেক সুবিধা পান যা অন্য পেশার মানুষের স্বপ্নেও কল্পনা করা উচিত নয়। এই সিস্টেম ব্রিটিশদের সৃষ্টি। মাঝখানে পাকিস্তানের কবর রচনা করে বাংলাদেশের জন্ম। কিন্তু ব্রিটিশ আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম এখনো রয়ে গেছে। ফলে আমরা দেখি সমাজে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, গবেষক, কৃষক, ব্যবসায়ী এদের চেয়ে আমলাদের দাপট ঢের বেশি।

গাড়ি যদি দিতে হয় একটি থানার সব ক্ষেত্রের প্রধানদের দেয়া হোক। ডাক্তারকে দেয়া হোক, কৃষি কর্মকর্তাকে দেয়া হোক, মৎস্য কর্মকর্তাকে দেয়া হোক। একজন ম্যাজিস্ট্রেট পায়ে হেঁটে তার অফিসে যাচ্ছেন, কিংবা রিকশায় করে যাচ্ছেন, অফিসে গিয়ে দেখেন টেবিলে, চেয়ারে ময়লা, এমন কোন দৃশ্য আজ পর্যন্ত কেউ দেখেছেন? অথচ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মৎস্য কর্মকর্তা সকলেই এই ইউএনওর তুলনায় ভালো ছাত্র ছিলেন। ক’দিন আগে একজন লিখেছে, এখন যারা এ প্লাস পেয়ে লাফাচ্ছো, তারা হবে ডাক্তার, আর যারা এ পেয়েছে তারা হবে ইউএনও আর যারা এ মাইনাস পেয়েছে এরা হবেন এমপি। সুতরাং এতো লাফাইও না। শিক্ষকদের কথা নাই বা বললাম।

একই সঙ্গে ডাক্তার, শিক্ষক, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বিসিএসে জয়েন করে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর কেউ হয় সহকারী অধ্যাপক, থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, কেউ হয় ডিসি। কলেজের টিচার এবং ডাক্তারদের প্রমোশন হয় না বললেই চলে। বর্তমানে যেভাবে আন্তঃপেশা বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে সেটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী। শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে সম্পূর্ণ উল্টো পথে। বাংলাদেশের মেরুদ- ভেঙে দেয়া হচ্ছে। বরাদ্দ কম। শিক্ষা ক্ষেত্রে জিডিপির কম করে হলেও ৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোযোগ আকর্ষণ করছি। আশা করছি তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন আজ/কাল। ফিরলে তিনি যেন সব পেশার মানুষের মধ্যে একটা সমতা আনার চেষ্টা করেন । বঙ্গবন্ধুর ছায়া শেখ হাসিনার মধ্যে দেখতে পাই আমরা। তিনি যোগ্য উত্তরসূরি। এভাবে বাংলাদেশ চলতে পারে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়