মৌরী সিদ্দিকা : ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের হাতে বন্দী থাকার সময় মানসিক সমস্যা তৈরি হয় মারিয়ামের ।- বিবিসি
‘তারা আমার শরীরে বিস্ফোরক লাগানো একটি আত্মঘাতী পোশাক পড়ায়। তারপর বলে ট্রিগার চেপে দিতে। চার বছর ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের হাতে বন্দী থাকা মারিয়াম এভাবেই বলছিলেন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
২০১৪ সালে ইরাকের ইয়াজিদি গ্রামগুলোর দখল নেয়া আইএস জঙ্গিরা। সেসময় ৬ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে বন্দী করে তারা - যাদের মধ্যে ছিল মারিয়াম ও তার মা।
মারিয়াম বলেন, ‘আমি বহুবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি।’
কিন্তু পরে মা’র সাথে দেখা হওয়ার পর আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন মারিয়াম। ‘বন্দী থাকা অবস্থায় মা’র সাথে একবার আমার দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। তখন মা’কে প্রতিশ্রুতি দেই যে আত্মহত্যার চেষ্টা করবো না। ’ মারিয়াম পালিয়ে আসতে পারলেও তার মা’র এখনো কোনো খোঁজ নেই।
মারিয়াম ও তার মায়ের সাথে হওয়া ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় মারিয়ামের বাবাকে।
‘এমন যদি হতো যে আমার মৃত্যু হলে মারিয়ামের মা ফিরে আসতো, তাহলে সে মৃত্যুই ভালো হতো আমার জন্য’, বলছিলেন মারিয়ামের বাবা।
গত ৪০ বছরে ইরাকে তিনটি বড় পরিসরের যুদ্ধ, একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়াও তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের দু’টি অভ্যুত্থান এবং জঙ্গিবাদী মিলিশিয়াদের সাথে সরকার সমর্থিত বাহিনীর গৃহযুদ্ধ হয়েছে।
এছাড়াও ইরাকে প্রায় এক দশক ধরে চলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলা।
আপনার মতামত লিখুন :