সান্দ্রা নন্দিনী : ভারতের গত কয়েকটি সাধারণ নির্বাচনে অন্যতম বহুল আলোচিত অন্যতম বিষয় এটি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভে ঠিক কোন পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী? শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে এই দুইনেতার প্রথম থেকেই যথেষ্ট ঢাঁক গুড়গুড় থাকায়, এবিষয়ে পরিষ্কার ধারনার চেয়ে রয়েছে বিতর্ক। এনডিটিভি
ভারতের প্রথম নির্বাচনের খবর সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘ইলেকশন ডট ইন’এ মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের ভাদনগর থেকে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষ করেন। পরবর্তীতে গুজরাট বিশ^বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উল্লেখ্য, মোদীর এই এমএ ডিগ্রি লাভ নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করে থাকেন।
মোদীর স্কুলের একজন শিক্ষক তাকে খুব সাধারণ মানের শিক্ষার্থী হিসেবে আখ্যা দিলেও, মোদী একজন অত্যন্ত সুদক্ষ বিতার্কিক ছিলেন বলে জানান। কলেজ জীবনের শুরু থেকেই মোদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-আরএসএস’র একজন প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং দুইবছর পুরো ভারত ভ্রমণ করেন।
১৯৯০’র দশকে মোদী নয়াদিল্লিতে বিজেপি’র মুখপাত্র হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাবলিক রিলেশন এন্ড ইমেজ ম্যানেজমেন্টে তিনমাসের একটি কোর্স সম্পন্ন করেন।’
অন্যদিকে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতায় রাহুল উল্লেখ করেন, দিল্লির সেন্ট. স্টিফেন’স কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে যুক্তরাজ্যের হার্ভার্ড বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি হয়েও পরবর্তীতে, রলিনস কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর, ক্যামব্রিজ বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ট্রিনিটি কলেজ থেকে এম.ফিল করেন তিনি।
তবে, রাহুলের শিক্ষাগত যোগ্যতায় গড়মিলের দিকে ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র থেকে রাহুল গান্ধীর এমএ ডিগ্রি হারানো গেছে! আমরা কিছুতেই বুঝতে পারলাম না কি করে আপনি এমএ ডিগ্রি ছাড়াই এম.ফিল পর্যন্ত পৌঁছালেন?’
তবে, এনডিটিভি’র সম্পাদকীয় উপদেষ্টা দোরাব আর সপারিওয়ালা এর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনারা এখানে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক না করেই যে যারমত মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ ছাড়াও ইংল্যান্ডের অন্য কোন বিশ^বিদ্যালয়েই বিএ ডিগ্রির পর এমএ করার প্রয়োজন পড়ে না। বিএ ডিগ্রি নেওয়ার কয়েকবছরের মধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ে মাত্র ৭ পাউন্ড জমা দিয়েই এমএ ডিগ্রির সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। ওইসব বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি বলতে এম.ফিল, ডি.ফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিকেই বোঝানো হয়। সেখানে এমএ ডিগ্রির কোনও গুরুত্ব নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :