শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০৮:০৮ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০৮:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘গাবতলী পশুর হাটে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় না’

ইসমাঈল ইমু : গাবতলী পশুর হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গাবতলী পশুর হাটে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে ভুল বুঝিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। সেইসঙ্গে চাঁদাবাজির কারণে গাবতলীতে গরুর মাংসের দাম বেশি থাকার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

রোববার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে গাবতলী পশুরহাট ইজারাদার ও পশু ব্যবসায়ীদের পক্ষে সানোয়ার হোসেন ও আবুল হাসেম কথা বলেন।

ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, গাবতলী হাটের চাঁদাবাজিই যদি কারণ হতো, তাহলে ঢাকার বাইরে মাংসের দাম বাড়ত না। আর চাঁদাবাজি হলে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগও রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সানোয়ার বলেন, আমরা মেয়র মহোদয়ের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গাবতলী হাটে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় না। সিটি করপোরেশন নির্ধারিত মূল্যেই সেখানে হাসিল নেয়া হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

মাংস ব্যবসায়ী রবিউল আলমকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে সানোয়ার বলেন, তার কোথাও কোনো মাংসের দোকান বা ব্যবসা নেই এবং নিজেও ব্যবসা করেন না। কিন্তু রবিউল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির মুখে ছেড়ে দিয়েছেন। মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিয়ে সরেজমিন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন সানোয়ার।

তিনি বলেন, তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসবে। কারা গাবতলীর গরুর হাট নিয়ে ষড়যন্ত করছে, তাও জানা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাবতলী পশুর হাটে বিক্রির সময় সিটি করপোরেশন নির্ধারিত হাসিল ছাগলের জন্য ৩৫, গরুর জন্য ১০০ ও মহিষের জন্য ১৫০ টাকা নেয়া হয়।

সানোয়ার বলেন, এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট গাবতলীতে চাঁদাবাজির কারণে যদি মাংসের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় মাংসের দাম ঢাকার চেয়েও বেশি কেন? মাংস ব্যবসায়ীরা গাবতলী হাটের বাইরে আরো হাট থেকে পশু কেনেন, তাহলে সেই পশুর মাংসের দাম কম নয় কেন?

গাবতলী হাটে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ পশু বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই হাট প্রায় ১৬ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নেয়া হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ফি ছাড়া বাড়তি টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। ঢাকার আশপাশে বেশ কিছু হাট হওয়ায় এই হাটে বিক্রি আগের চেয়ে কমে গেছে। সেইসঙ্গে সরকারি নীতি অমান্য করে গাবতলী বেড়িবাঁধে ২৫-৩০টি গরুর ফার্ম থেকেও সরাসরি কিনছেন মাংস বিক্রেতারা। এই ক্ষতিটাও আমাদের উপর পড়ছে। তবুও গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশন নির্ধারিত ফি ছাড়া কোনো বাড়তি টাকা নেয় না।

বর্তমানে ভারত থেকে বৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধ এবং পথে গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সীমান্ত উন্মুক্ত ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়