শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে আগুন, পুড়ে গেছে যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সামগ্রী 

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০৬:২৯ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০৬:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ষণ প্রতিরোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিফলিত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন মালেকা বানু

সৌরভ নূর : সব দেশেই কম-বেশি এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়, আমাদের দেশেও হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা বেশি বলে অনেক বেশি বেশি মনে হচ্ছে। মেয়েদের চলাফেরা বা পোশাক-আশাকের জন্য এগুলো ঘটছে এখন আর এ ধরনের কথা বলার সময় নেই, সে ধরনের মানসিকতাও থাকা উচিত নয়। মানবিধাকির কর্মী ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যাকা-ের ঘটনাটি যারা ঘটালো তারা এতো সাহস পেলো কীভাবে? তারা দেখছে, বুঝেছে এর জন্য এমন কি আর বিচার হচ্ছে। এতে করে অপরাধীর সাহস বেড়ে যাবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিফলিত করতে সামাজিক আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।

আমরা উন্নয়নশীল একটি দেশ, আমরা সবদিক দিয়েই এগিয়ে চলেছি সরকারকে বুঝতে হবে, ভাবতে হবে ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়ন এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত ইস্যু। আমাদের সব ডেভেলপমেন্টকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, সব অ্যাচিভমেন্টকে বরবাদ করে দিচ্ছে। এর জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি নিশ্চয়ই আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে। বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত না করলে শুধুমাত্র সামাজিক আন্দোলন দিয়ে ধর্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করা হয়েছে এখন দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ধর্ষণসহ সকল প্রকার সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ রকম একটি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজে একটা ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় অভিভাবকরা মেয়েদের আর বাইরে বের হতে দেবে না। অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে নারীরা।

এ নিয়ে আমরা এতোদিন ধরে কতো কিছু বলছি, আবার এরই মধ্যে কতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অথচ এ প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত পার্লামেন্টে কোনো আওয়াজ তোলা হয়নি। নতুন আইন তৈরি করার কথা ছিলো সেটাও করা হয়নি। সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে সমাধানের পথে হাঁটা শুরু করতে হবে। মনে রাখতে হবে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন এখন আলোচিত খবরে পরিণত হয়েছে, জনমানুষের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়