শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ১২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ১২:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রমজানে কর্মচারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মহানবির শিক্ষা

আমিন মুনশি : রমজান মাস সহমর্মিতার মাস। তাই এই মাসে নিজের অধীনস্ত ও কর্মচারীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো মুমিন বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করে দিবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ৭০২৮)

মাহে রমজানে অফিসের কর্মচারী, অধীনস্ত গৃহকর্মীরাও রোজা রেখে থাকেন। তাই কর্মচারী ও গৃহকর্মীদের প্রতি অফিসের বস ও গৃহকর্তাদের কিছু দায়িত্ব চলে আসে। আর তা হচ্ছে তাদের কাজে সহযোগিতা করা। অথবা তাদের কাজ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া। যে কাজটা সে একা করবে তাতে নিজেও হাত লাগানো। না হলেও চলে এমন কাজের জন্য তাদের চাপ না দেওয়া। রোজার সময় তার নির্ধারিত দায়িত্ব থেকে কিছু কম সেবা গ্রহণ করেও তার প্রতি অনুগ্রহ করা যেতে পারে।

এছাড়া অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে কর্মীদের পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এটাও এক ধরনের সহানুভূতি। তবে এমন যেন না হয়, হাদিয়া কিংবা বোনাস দেওয়ার নাম করে আপনি এ কথা ভাববেন- বোনাস তো দেবোই, কিছু কাজ বেশি করালে ক্ষতি কী। তাহলে এটা আর রোজাদারের প্রতি আপনার সহমর্মিতা হলো না।

রোজাদারের প্রতি সম্মান ও রমজানে কর্মচারী এবং অধীনস্ত গৃহকর্মীদের প্রতি সদয় ও সদাচারের দাবি হলো, তার কাজ কমিয়ে দিয়ে পারিশ্রমিক বেশি দেয়া। তাহলেই আপনি সুসংবাদের সৌভাগ্যবান অধিকারী হতে পারবেন। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। (শুআবুল ঈমান, হাদিস নং-৩৩৩৬; সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস নং- ১৮৮৭)

প্রতিষ্ঠানের রোজাদার কর্মচারীদের কাজের সময় বা ‘ওয়ার্ক টাইম’ কমিয়ে দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। অন্য সময় একজন কর্মচারীর কাছ থেকে সাধারণত যেটুকু সময় কাজ নেওয়া হয়, রমজানে কিছুটা কমিয়ে তাদের ক্লান্তিবোধের প্রতি সদয় হওয়া এবং তাদের কষ্ট লাঘব করা অবশ্যই অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হবে। এটা এভাবেও হতে পারে, সময় কমিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করানোর ব্যবস্থা করা। এতে কর্মচারীদেরও একটু সহযোগিতা হবে আবার কর্মকর্তারও কাজের ঘাটতি হবে না।

তবে কর্মচারীর জন্য রোজার কারণ দেখিয়ে কাজে অলসতা ও অবহেলা করা কোনোক্রমেই উচিত হবে না। আবার কাজের বাড়তি চাপের কারণে কর্মচারী যদি রোজা রাখা ছেড়ে দেয়, এটাও কর্তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। তবে হ্যাঁ, কর্মচারী যদি কষ্ট করে নিজের দায়িত্ব আদায় করে তবে সে এর জন্য অধিক সওয়াবের অধিকারী হবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়