শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ১২:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দরিদ্র দেশগুলোকে ‘বর্জ্যস্তুপ’ বানানোর পায়তারা করছে ধনী দেশগুলো

লিউনা হক: ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের সকল গরীব দেশগুলোকে বর্জ্যস্তুপে পরিণত করতে ধনী দেশগুলো একমত হয়েছে বলে জানানো হয় শুক্রবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে।যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো নিম্ন মানের প্লাস্টিক বর্জ্য কোন ধরনের সরকারী অনুমোদন ছাড়াই উন্নয়নশীল দেশে পাঠাতে পারে।

যখনই চীন যুক্তরাষ্ট্রের আবর্জনা পুনর্বব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে, তখন থেকেই উন্নয়নশীল দেশগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যরে স্তুপাকারে পরিণত হচ্ছে। গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইনসাইনেরেটর অলটারনেটিভ (জাইয়া) সংস্থাটি বলছে, গত কয়েক বছর ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বেশকিছু গ্রামকে ‘বর্জ্যস্তুপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পৃথিবীর জলভাগ ও প্রাণীকূলকে হুমকির মুখে ফেলা ‘প্লাস্টিকের বর্জ্য এবং বিষাক্ত ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ’ বিষয়টি নিয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতিসংঘ সমর্থিত সম্মেলনটির বৈঠকের শেষে বর্জ্য অপসারণে আইনগত বাধ্যতামূলক অবকাঠামো তেরি করা হয়। বাসেল কনভেনশন চুক্তিটির একটি সংশোধনী আসে। যুক্তরাষ্ট্র এই কনভেনশনের সদস্য না হওয়ায় দেশটি ভোট দিতে না পারলেও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে এই আইন পরিবর্তনের বিরোধিতা করে বলেছে কর্মকর্তারা প্লাস্টিকের বর্জ্য বাণিজ্যের উপর যে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন তা বুঝা মুশকিল।

প্লাস্টিক ধ্বংসাবশেষ কৃষিজ জমি, জলভাগের বিশাল প্রাণীকূল এবং জীবজগৎকে হুমকি ও বিপদের সম্মুখীন করে। কমমূল্য ও কঠিন দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করতে গেলে সেগুলো একেবারে নষ্ট হয়না বরং নতুন দ্রব্যে পরিণত হয়।

স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি, মহাকাশ, ফ্যাশন, পানীয় এবং খাবারসহ সুবৃহৎ নিত্য ব্যবহার্য বেশিরভাগ জিনিসই প্লাস্টিক সামগ্রীর উপর নির্ভর করে। রালফ পায়েট নামে একজন পরিবেশবিদ জানান, জেনেভার সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের চুক্তিতে ১৮৭ টি দেশ স্বাক্ষর করে যা ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ নামে একটি কনভেনশন গঠিত হয়। দেশগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে প্লাস্টিকের বর্জ্যগুলো কোথায় যায় এবং কখন সীমানা পার হয়। পায়েট আলোচনায় বলেন, কনভেনশটি ১৪০০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে ১১ দিন আগ থেকে শুরু হওয়া পূর্বধারণার চেয়েও অগ্রগামী।

তিনি প্লাস্টিকের বর্জ্যকে ‘মহামারী’র সাথে তুলনা করে বলেন, এখন পর্যন্ত সাগরে প্রায় ১০ কোটি টন বর্জ্য পাওয়া যাবে যার ৮০-৯০ শতাংশ ভূমন্ডল থেকে পাওয়া গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়