ফাতেমা ইসলাম : চীনা পণ্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র আরো এক দফা শুল্ক আরোপের পর দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরো তীব্র রূপ নিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রিয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ি বাণিজ্য আলোচনা শেষে বেইজিং দু’দেশের মধ্যে তিনটি মূল পার্থক্য শনাক্ত করেছে। তবে দু’দেশের মধ্যে ওয়াশিংটনে এই বাণিজ্যে আলোচনা চলাকালিনই ট্রাম্পের প্রশাসন নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন করে চীনের যন্ত্রপাতি আসবাবপত্র এবং গাড়ির যন্ত্রাংশসহ হাজার হাজার পণ্যের ওপর ১০-২০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই কাজে তারা খুবই দুঃখিত হয়েছে, এবং তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। বিবিসি
অর্থনীতিবিদ ফারিয়া নাইম বলেন, বাংলাদেশের ওপরে যে প্রভাবটা পড়তে পারে সেটা রপ্তানির দিক থেকে আসবে। চীন আমাদের ডিরেক্ট প্রতিযোগী কিছু কিছু রপ্তানিভোগি পন্যের ব্যাপারে। বিশেষভাবে তৈরি শিল্প খাতের জন্য আমরা চীনের পরে বাংলাদেশে পরবর্তি গ্লোবাল সাপ্লায়ার হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। সেখানে রপ্তানির দিক থেকে মূল প্রভাব আসতে পারে তবে সেটার প্রভাব কেমন হবে তার বলা মুশকিল। কারণ শুল্ক কয়েক দফায় আরোপ করা হয়েছে এবং পরবর্তিতেও আরোপ করা হবে। আমাদের উচিত এমন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারিরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহি হয়।
তিনি আরো বলেন, লিষ্ট থ্রি নামে যেটা আছে যেখানে অ্যাপোরেলের ওপরে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যে সব পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে বিশ্ববাজারে সেটা এইসএস কোর্ড নামে প্রত্যেকটি প্রডাক্ট চিহ্নিত করা হয়। রেডিমেট গার্মেন্টসের বাইরেও অনেক টেক্সটাইল আইটেম আছে যেমন ক্যাপ্টার ৬৫ এর ওপরে লিষ্ট থ্রি কিছু শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে ক্যাপ্টার ৬৫ এর যেসব পণ্য সেগুলোর খুব বড় মাপের রপ্তানি করে না। তবে চীনের যন্ত্রপাতি আসবাবপত্র এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তার জন্য বাংলাদেশে মার্কিন বাজারে প্রতিদ্বন্দিতাকরার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :