শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০১৯, ০৩:৫৫ রাত
আপডেট : ১১ মে, ২০১৯, ০৩:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজ পেতে দৌড়ঝাঁপ ৩ চীনা কোম্পানির

সমকাল : বাংলাদেশে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে তিনটি চীনা কোম্পানি। প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণাঞ্চলে এটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বেনারনিউজের বরাতে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়া এ খবর দিয়েছে।

রাশিয়ার সহায়তায় প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলমান থাকা অবস্থাতেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বিএইসি) চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বেনারনিউজকে জানান, কয়েক মাসে তিনটি চীনা কোম্পানির কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই প্রকল্পে ১৮০০ কোটি ডলার বা দেড় লাখ কোটি টাকা খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মাহবুবুল হক জানান, প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কেন্দ্রটি তৈরির দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা ঠিক করা হয়নি। তবে এরই মধ্যে চীনা কর্মকর্তারা যোগাযোগ শুরু করেছেন।

গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩০০ কোটি ডলার। ২০২৪ সাল নাগাদ এখান থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

বিএইসি চেয়ারম্যান বলেন, চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশনের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে বৈঠক করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত অত্যাধুনিক পরমাণু কোম্পানির ব্রশিউর তুলে দিয়েছেন। আরও দুটি চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে দেখা করে অত্যাধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে অন্য দুটো কোম্পানির নাম তিনি প্রকাশ করতে চাননি।

এ ব্যাপারে বেনারনিউজের পক্ষ থেকে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। তবে বিএইসির মাহবুবুল হক বলেন, সম্প্রতি এক জনসভায় শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সরকার তাদের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে বলেছে।

এই প্রকল্পের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চলে নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে সরকার। বর্তমানে জায়গা খোঁজার কাজ চলছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চীনা কোম্পানিগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিএইসিতে চিঠি দিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থায়ন কীভাবে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের খরচ ৯০ ভাগই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রুশ সরকার। শুধু ১০ ভাগ অর্থের জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

চীন এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১৮০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। এর মধ্যে চীনের রফতানিই বেশি। চীনের ৪০০ কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। তবে বাংলাদেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ নিয়ে চীন ও ভারত ঠাণ্ডা লড়াইয়ে নামতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়