জাবের হোসেন : পাইলটের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে মিয়ানমারগামী বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৬০ ফ্লাইটের যাত্রীরা মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। পাইলট যখন বুঝতে পারছিলেন বিমানটিতে বড় ধরণের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে তখনই তিনি ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন। বিমানটি তখন রানওয়ের বাইরে ছিটকে পড়ে। ভয়েজ অফ আমেরিকা
এই ফ্লাইটে বাংলাদেশের ১৫ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়া চীনের ৫ জন, মিয়ানমারের ৩ জন, ডেনমার্কের ১জন, ফ্রান্সের ১, দুজন বৃটিশ, কানাডার ১ জন ও ভারতের ১ জন যাত্রী ছিলেন।
এই ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন ঢাকার স্টার কম্পিউটার সিস্টেমস লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা খান। আহত রেজওয়ানা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তার নাকে বেশ কয়টি সেলাই লেগেছে। শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে বুঝতে পারিনি কি হতে যাচ্ছে। তবে মনে হচ্ছে ইঞ্জিন বন্ধ না করলে কেউ আর বাঁচতে পারতাম না। বিমানে আগুন ধরেনি তাই আমরা বেঁচে গেছি।
ড্যাশ-৮ এই উড়োজাহাজটি এর আগে কমপক্ষে তিনটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ৫ বছরের লিজে ২০১৫ সালে দুটি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ আনা হয়। গত ৬ই মার্চ হায়দারাবাদে এয়ারক্রাফটটির ইঞ্জিনের উপরে থাকা ব্ল্যাংকেট পুড়ে যাওয়ায় বিমানটি অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। বিমানটি অপারেশনের অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিনই চার-পাঁচটি রুটে চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :