মাকসুদা লিপি : শয্যা সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল’-এ। বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে পারলেও সিটের অভাবে প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছে শত শত রোগী। গত ৭ মে একজন রোগীও ভর্তি হতে পারেনি। এপ্রিল মাসে ভর্তি করতে না পেরে ১৭ হাজার রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বছরের পর বছর বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েও কাজ হচ্ছে না। সময় টিভি
নোয়াখালীর আহসানউল্লাহ ৬৫ বছরের জীবনে এই প্রথম এসেছেন ঢাকায়। চার বছরের নাতনী মৌর চিকিৎসা করাতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে। জরুরি বহির্বিভাগের ডাক্তার জানান, কিডনি সমস্যায় ভোগা মৌ এর অবস্থা ভালো নয়। এখনই ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। কিন্তু সিট খালি নাই। দিশেহারা পুরো পরিবার, ঢাকায় নেই কোনো আপনজন, পথঘাট সব অচেনা। দেশের একমাত্র বিশেষায়িত শিশু হাসপাতালে গত ৭ মে দুপুরে রোগীর সংখ্যা ১৮০ ছাড়ায়, এর মধ্যে ১২২ জনকে ভর্তির পরামর্শ দিলেও শয্যা সংকটের কারণে ভর্তি করা যায়নি একজনকেও।
পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলে ঢাকা শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিভিন্ন ইউনিটে রোগী দেখা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৪০ জন। ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ রোগীকে। তবে মাত্র ৩ হাজার ৩৬৭ জন পেয়েছে সিট। চাহিদা অনুসারে ধারণ ক্ষমতা কম, তার উপর বর্ধিত দুটি ভবনের অধিকাংশই ছেড়ে দিতে হয়েছে পঙ্গু হাসপাতালকে, সব মিলিয়ে অসহায় কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক শফি আহমদ বলেন, এই হাসপাতালটি বিশেষায়িত হাসপাতাল হলেও চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালটিকে আমরা বাড়াতে করতে পারছি না। বর্তমানে হাসপাতালের রোগী ধারণ ক্ষমতা ৬৬০ জন। বছরের পর বছর ধরে রোগীদের শয্যাসংকট নিয়ে চলছে এই হাসপাতাল।
আপনার মতামত লিখুন :