শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০১৯, ০৫:২৩ সকাল
আপডেট : ১০ মে, ২০১৯, ০৫:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনলাইনে সক্রিয় হিজবুত তাহরীর

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থানের কারণে প্রকাশ্যে আসতে না পেরে অনলাইনে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। এর আগে ঘোষণা দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সও করে তারা। তবে রাজপথে আন্দোলনের বদলে নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য অনলাইনে সচল রয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার এ সংগঠনের আইটি বিশেষজ্ঞ রিয়াজ উদ্দিন এন্টিটেররিজম ইউনিটের হাতে ধরা পড়ার পর এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রিয়াজউদ্দিন হিজকুত তাহরীরের গুরুত্বর্পূণ সমন্বয়কদের একজন সংগঠক এবং আইটি বিশেষজ্ঞ। তার বিরুদ্ধে সরকার উৎখাত করে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তিন বছর ধরে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, শ্যামপুর, দনিয়া ও গেন্ডারিয়া এলাকায় হিজবুত তাহরীরের সমন্বয়ক হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। মাঠপর্যায়ে সংগঠনের ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও নানা র্কাযক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন রিয়াজ।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারাদেশে এদের নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রকাশ্যে কোন সভা সমাবেশ না করলেও প্রতি শুক্রবার জুমার নামজের পর বিভিন্ন মসজিদে লিফলেট বিতরণ তাদের অন্যতম কর্মকাণ্ড। সুযোগ বুঝে পুলিশের নজর এড়িয়ে একেক শুক্রবার ভিন্ন এলাকায় এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী কাউন্টার টেররিজম এক্সচেঞ্জে (সিটিএক্স) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চেয়েও ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। নিষিদ্ধ এই সংগঠন বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নজরদারি চাতুর্যের সঙ্গে এড়িয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস যখন উন্মত্ততা ও গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বর্বর নৃশংসতায় ব্যস্ত ছিল তখন হিজবুত তাহরীর খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি হিসেবে তাদের বৈশ্বিক কাঠামো গড়ে তোলায় বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠে। কট্টর ইসলামপন্থায় বিশ্বাসী তরুণ ও আরব বিশ্বের গভীর সমর্থনের ওপর নির্ভর করে এ কাঠামো তৈরির চেষ্টা চালায় সংগঠনটি। এরই মধ্যে ৫০টি দেশে তাদের সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলেছে। হিযবুত তাহরীরের একটি সামরিক শাখা রয়েছে। এর নাম হরকত-উল-মুহোজিরিনফি ব্রিটানিয়া। এর সদস্যদের রাসায়নিক, জীবাণুনির্ভর ও জীববিজ্ঞানভিত্তিক যুদ্ধশাস্ত্রের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ কারণে আইএসের চেয়েও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা হিযবুত তাহরীরের রয়েছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ১৯৫২ সালে জেরুজালেমে প্রতিষ্ঠিত এ দলটির সদর দপ্তর লন্ডনে। মধ্য এশিয়া, ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (মূলত ইন্দোনেশিয়া) এর শাখা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভেতর পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সংগঠনটির ব্যাপক উপস্থিতি। আইএস ও হিজবুত তাহরীরের মধ্যে মতাদর্শগতভাবে বিশেষ তফাৎ নেই। যারা আইএসকে সমর্থন করে তারা হিজবুত তাহরীরকেও সমর্থন করেন। তবে আইএসের সঙ্গে তাদের কৌশলগত পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে চেয়ে তরুণদের আকৃষ্ট ও দীক্ষিত করতেই তারা বেশি আগ্রহী।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজবুত তাহরীর তাদের কার্যক্রম শুরু করে। পরে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘জননিরাপত্তাজনিত স্বার্থ’ এই কারণ দেখিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করে। দলটিকে পৃথিবীর অন্য অনেকগুলো দেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়