শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০১৯, ০৫:০২ সকাল
আপডেট : ১০ মে, ২০১৯, ০৫:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কয়লা মাফিয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল: নরেন্দ্র মোদী

আনন্দবাজার: তৃণমূল কয়লা মাফিয়াকে ভোটে প্রার্থী করেছে বলে সরাসরি অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তা-ই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে এই কয়লা মাফিয়া চক্র অংশীদার হয়ে উঠেছে বলেও আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী।

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার রাঙামাটিতে কয়লা মাফিয়াকে ঘিরে বিতর্ক বহু দিনের। রাঢ়বঙ্গের ওই দুই কেন্দ্রে ভোটের তিন দিন আগে জোড়া সভা থেকে মাফিয়া-তৃণমূল আঁতাঁতের অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন মোদী। বাঁকুড়ায় তিনি বলেছেন, ‘‘এই এলাকার কয়লা খাদানে তৃণমূলের মাফিয়া চক্র কী রকম কারবার চালাচ্ছে, আপনারা ভাল জানেন। মাফিয়া তৃণমূলকে টাকা পাঠাচ্ছে। অথচ কয়লা খাদানের মজদুরেরা মজুরি পাচ্ছেন না।’’ পরে পুরুলিয়ায় তাঁর সংযোজন, ‘‘এই এলাকা কালো সোনার উপরে দাঁড়িয়ে আছে। তৃণমূল সেখানে কয়লা মাফিয়াকে নিয়ে এসেছে। ভোটে কয়লা মাফিয়াকে দাঁড় করাচ্ছে। কয়লা মাফিয়াকে সরকারের অংশীদার করে ফেলা হয়েছে।’’ স্থানীয় মানুষের মন পেতে এর পরে বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘মাফিয়া, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে রাজনীতি করতে এই সরকার এত ব্যস্ত যে, আদিবাসী-জনজাতিদের দিকে মন নেই।’’

গত কয়েক দিনে নানা প্রচার-সভা থেকে মোদীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়িয়েছেন মমতা। বাঁকুড়ার কমলাডাঙা ও পুরুলিয়ার রায়বাঘিনী ময়দানে মাঠ-ভরা ভিড়ের সামনে বৃহস্পতিবার মোদী বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্যপাটে টান পড়ার দুশ্চিন্তা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা লাগামছাড়া হচ্ছে। মাফিয়া-প্রসঙ্গের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘মোদী এই কথাগুলো বলে বলেই দিদির রাগ হয়ে যায়! দেশের ১৩০ কোটি মানুষের ভালবাসা মোদীর সঙ্গে আছে। দিদির বরং বাংলার কোটি কোটি মানুষের হতাশা, ক্রোধ নিয়ে চিন্তা করা উচিত। দিদির দলের দাদাগিরি, বাংলায় গুন্ডাতন্ত্র কত দিন চলবে?’’

মানুষের কথা না-ভেবে শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখতেই তৃণমূল নেত্রী ব্যস্ত বলে মোদী অভিযোগের সুর চড়িয়েছেন। বলেছেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের নয়, শুধু নিজের গদি, নিজের আত্মীয়, নিজের ভাইপো, নিজের তোলাবাজদের নিয়ে ওঁর চিন্তা। আর কারও খেয়াল রাখেন না।’’

ইদানীং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলছেন, মোদীর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বা কাউন্সিলর হওয়ারও যোগ্যতা নেই। বাঁকুড়ার তামলিবাঁধ ময়দানে এ দিনও মমতা বলেছেন, ‘‘ছিল চা-ওয়ালা। কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা নেই, টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, ‘‘দিদির আস্থা নেই সংবিধানেও। প্রকাশ্যে বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে মানেন না! ঘূর্ণিঝড়, দুর্যোগের পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা উচিত বলে তাঁর মনে হয় না। ক্ষতি বোঝার জন্য ভারত সরকার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেও তাঁদের যেতে দিতে অস্বীকার করেন। এই অহঙ্কার দিদিকে নিয়ে ডুববে!’’ মোদীর খোঁচা, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে মানেন না। কিন্তু পুলওয়ামা, বালাকোটের পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলতে তাঁর গর্ব হয়!’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়