জাবের হোসেন : ইদানীং মুম্বই যাতায়াত শুরু করেছেন সুশান্ত দাস। বাংলা টেলিদুনিয়ার অন্যতম সফল প্রযোজক-পরিচালক বলেন,জয়ী, দিয়া, কিংবা জবার লড়াইয়ে নিজেকে শামিল করতে পেরে ভালো লাগে। এই সেই সুশান্তই এখন একটা এমন টিম তৈরি করেছেন, যাঁরা সারাদিন ধরে হিন্দি কনটেন্ট তৈরি করে চলেছে। লক্ষ্য আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই কোনও হিন্দি চ্যানেলে হইহই করে ধারাবাহিক শুরু করা। আর একটু নিজেকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলতে চাই বললেন ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকটির হাজার এপিসোড পার করে দেওয়া আত্মবিশ্বাসী প্রযোজক-পরিচালক। বর্তমান
পারিবারিক সস্পর্কের নাটকীয়তাটাই তাঁর ধারাবাহিক সাফল্যের ইউএসপি বলে মনে করেন সুশান্ত। আর সেই ফর্মুলা মেনেই হাজার পর্ব পার করে দিল স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কে আপন কে পর’।
এটার পর শুরুও হয়েছিল একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্পকে পিছনে রেখে। ধারাবাহিকটি শুরুর সময়ে জয়ী বা দিয়ার মতো জবার কোনও নির্দিষ্ট স্বপ্ন ছিল না। পরিবারের মানুষগুলো সুখে শান্তিতে থাকলেই নিজে ভালো থাকবে বলে মনে করত সে।
আগামী দিনে কাহিনীর গতিপথ কিছুটা ফাঁস করলেন নির্মাতা নিজেই। জানালেন, জবা আবার গর্ভবতী হবে। সেই গর্ভধারণের একমাত্র কারণ কঠিণ রোগে আক্রান্ত নিজের মেয়ে সিমরনের প্রাণ বাঁচানো। এই প্রসঙ্গে সুশান্ত মনে করিয়ে দিলেন পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন আমার সিরিয়ালে খুবই কম। একজন নারী, একজন পুরুষের প্রেম নিয়ে গল্প লেখাতে আমি বেশি স্বচ্ছন্দ্য।
যদিও তিনি মনে করেন, মানুষ দেখেছে নিয়েছে বলেই পরকীয়া সম্পর্ক আশিত ধারাবাহিকগুলো সাফল্য পেয়েছে। সেই ধারার অনুবর্তী না হয়েও সুশান্তর দাবি বাংলা ধারাবাহিকে এই মুহুর্তে জবা সবচেয়ে হিট চরিত্র। বাকি দিনগুলোতেও সে তার এক নম্বর জায়গাটাকে ধরে রাখতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :