মাকসুদা লিপি: ‘গব্বর সিং’ নামের সত্যি সত্যি ডাকাত ছিল চম্বলে। জ্যোতি বসুর বাড়ির পাইপ বেয়ে উঠে এসেছিল চম্বলের ডাকাত! চমকে দেওয়া নানা কাহিনি শুনিয়েছেন শুভেন্দু। এবেলা
যে পত্রিকায় চাকরি করতেন, সেখানে প্রকাশিত হবে চম্বলের ডাকাত নিয়ে কভার স্টোরি। সেই সূত্রেই বেরিয়ে পড়া।
শুভেন্দু লিখেছেন, আমি তখন ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভি শহরে। সেখানে দেখতে পাই এক ব্যক্তি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাতে তিনি হোটেল রুমে নিয়ে এলেন ডাকাত দলের নেতা বাবুলি কৌল ও গৌরী যাদবকে। গৌরী মহিলা, বাবুলি পুরুষ। তাদের সঙ্গে তিনি ঘুরে বেড়ালেন ডাকাতদের ডেরা। কেবল ফোন আর ক্যামেরাটা সঙ্গে রাখা যায়নি।
বাঙালির কাছে ডাকাত বলতে ‘দেবী চৌধুরানী’, ‘বীরপুরুষ’ কিংবা ‘বাংলার ডাকাত’। পরবর্তী সময়ে তরুণ ভাদুড়ীর ‘অভিশপ্ত চম্বল’ কিংবা ‘বেহড় বাগী বন্দুক’ । এর পরে ‘সোনার কেল্লা’-র ‘রাজস্থান মে ডাকু হ্যায় ইয়া নেহি হ্যায়?’ কিংবা রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’। তার পরে আর কিছু নেই।
পুলিশ শুভেন্দুকে জানিয়েছেন ২০১৫ সালের দিকেও ওই অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে অন্তত ২০টি গ্যাং! যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গেই ধীরে ধীরে কমেছে ‘গব্বর সিং’-দের দাপাদাপি।
চম্বলের ডাকাতদের সঙ্গে কলকাতার যোগও কিন্তু নিবিড়। এক সময়ে পাইপ বেয়ে উঠে এসেছিলেন দুর্র্ধষ ডাকাত মাধো সিং ৫৫বি হিন্দুস্থান পার্কে জ্যোতি বসুর বাড়ির অন্দরে। সঙ্গে দই-রসগোল্লার হাঁড়ি। বাঙালির মিষ্টিপ্রীতির কথা অজানা ছিল না তাদের। উদ্দেশ্য, জ্যোতিবাবু তাদের আত্মসমর্পণের বন্দোবস্ত করে দিন। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সটান জানিয়ে দেন, পলিটব্যুরোর সঙ্গে আলোচনা না করে এ বিষয়ে তিনি কিছু করতে পারবেন না।
পিসি সরকার (সিনিয়র)-ও পড়েছিলেন ডাকাতের পাল্লায়। সেই ডাকাত মাধো সিং। তার উদ্দেশ্য একটাই। ম্যাজিক শিখবেন!
আপনার মতামত লিখুন :