কামরুল হাসান : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা আগামী ১৭ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। ওইদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষা থাকায় পূর্বঘোষিত প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির আজ এতথ্য নিশ্চিত করেন।
মহাপরিচালক বলেন, আমরা এর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আগামী ১৭ মে থেকে পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে। কিন্তু ওইদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষা থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অন্য কোনো কারণে নয়। ১৭ মের নিয়োগ পরীক্ষা ২৪ মে নেয়া হবে। তবে ৪ ধাপেই নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
নতুন তারিখ হিসেবে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৪ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২১ জুন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি শেষ করতে না পারায় গত ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৭ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর আগে ১০ মে এ পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। তার আগেও আগে গত ১ ফেব্রæয়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় ওই সময়ও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ৩০ জুলাই ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জন।
এবার নিয়োগ পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তত্ত¡াবধানে নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :