নুর নাহার : বছর ঘুরে এসেছে আত্মশুদ্ধি আর সংযমের মাস রমজান। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, এই মাসের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে হবে বছরজুড়ে। অন্যদিকে পুষ্টিবিদদের মতে এই মাসে খাবার নির্বাচনে হতে হবে বিশেষ মনযোগী। সেহরিতে বেশি আমিষ ও ইফতারে ভাজাপোড়া যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। চ্যানেল ২৪
আবু হুরায়রা (রা.আনহু) একবার রাসুলাল্লাহ (সা.)'র কাছে একটি উত্তম নেক আমলের পরামর্শ চাইলে রাসুলাল্লাহ সা. রোজার কথা বলেছিলেন। আর বলেছিলেন এর সমমর্যাদার কোন আমল নেই। শুধু তাই নয় এই আমলের প্রতিদান দেবেন স্বয়ং আল্লাহতাআলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের বলেন, যতো রকমের নেয়ামত জান্নাত থেকে দেয়া হোক না কেনো সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত হচ্ছে আল্লাহর দিদার। ওই আল্লাহর দিদার লাভ করবে তারাই যারা সিয়াম সাধনা করবে। রমজানের এই শিক্ষা শুধু এ মাসেই নয়, বছরের বাকি সময়গুলোতেও কাজে লাগানো দরকার। এতে করে ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ডা. ইসরাত জাহান বলেন, ইফতারিতে ফল নিতে পারেন আঁশ যুক্ত। এবং ঠাণ্ডা খাবার যেমন, দই চিড়া, কলাও হতে পারে। সেহরিতে দুইটা খেজুর বা পানি খেয়ে রোজা রাখছে। মাথায় রাখতে হবে সেহরি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরবর্তী দিনের রোজার ১৪-১৫ ঘণ্টা এই সেহেরীর খাবারটাই সারাদিন শক্তি যোগায়।
ইসরাত জাহান আরো বলেন, বাইরের ডুবো তেলে ভাজা খাবার এখন হাইজিন নয়। সবাই জানে পোড়া তেলের খাবার ক্যানসারের জন্য দায়ী। সেক্ষেত্রে অল্প তেলে যদি ঘরে তৈরি করা যায় সেটিই ভালো হয়।
একইসাথে রমজানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ইফতারির দোকানের খাবার নিরাপদ কিনা প্রশাসনকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার তাগিদ দিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও পুষ্টিবিদরা।
আপনার মতামত লিখুন :