শিরোনাম
◈ রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ◈ রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত, উদ্ধারে সহযোগিতা করবে বিভিন্ন দেশ ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভ‌রি এক লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা ◈ রাইসির মৃত্যু হলে দায়িত্ব পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন ◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার  ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি, খুঁজে পেতে ডিবিতে মেয়ে

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০১৯, ০২:২৬ রাত
আপডেট : ০৬ মে, ২০১৯, ০২:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শপথ ইস্যুতে বিএনপিতে বিরোধ বাড়ছে, মহাসচিবকে একহাত নিলেন গয়েশ্বর, অন্যরা গোপনে

শাহানুজ্জামান টিটু : এমপিদের শপথ ইস্যুতে বিএনপির শীর্ষনেতারা অনেকই এটা মেনে নিতে পারছেন না। স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বলয়ের সন্দেহ সিদ্ধান্ত পরির্বতনে মির্জা ফখরুলের হাত রয়েছে। একদিকে তারা বলছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। অন্যদিকে সন্দেহের তীর মির্জা ফখরুলের দিকে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন তুলেছেন, সবাই পার্লামেন্টে গেল মহাসচিব গেল না কেন? এটা আমার কাছেও খটকা লাগে, দলের সিদ্ধান্তে সবাই গেলে মহাসচিব যাবেন না কেনো? আলাদা কারোও ভালো থাকা বা আলাদা কারো হিরো হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি কেন সংসদে যোগ দিলেন না নিশ্চয়ই সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।

সূত্র জানায়, সিনিয়র নেতাদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক সেনাপ্রধান মাহাবুবর রহমান প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করলেও ভেতরে ভেতরে এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট তারা। মোশাররফ ও গয়েশ্বর বলয়ের দলের মধ্যে তাদের প্রাধান্য ধরে রাখতে মির্জা ফখরুল বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। তাকে কোনঠাসা করতেই তাদের এই কৌশল। মির্জা ফখরুলকে দলের মহাসচিব করার আগে থেকেই ওই পদে আগ্রহী ছিলেন দুই নেতা। কিন্তু তাদের মধ্যে কাউকে না দিয়ে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব করা হয়। এ সিদ্ধান্তে মনক্ষুণ্ন মোশাররফ-গয়েশ্বররা প্রকাশ্যে মির্জা ফখরুলকে মহাসচিব মানলেও ভেতরে ভেতরে তার বিরোধীতা করে আসছেন। তবে এসব পাত্তা দিতে চান না মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তার বক্তব্য স্পষ্ট, দলে কোনো বিভেদ বা বিভক্তি নেই। দল চলছে যৌথ নেতৃত্বে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পরামর্শেই চলছে দল।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান মনে করেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কথা বলা ঠিক না। এছাড়া স্থায়ী কমিটির নেতারা বাইরে কেন এমন বক্তব্য দিচ্ছে এটাও বুঝছেন না। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির মত বিশাল দলে মতপার্থক্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত আবার তা নিরসন হয়ে যায়। দলের সিনিয়র এক নেতা বলেন, বিরোধীতার মুখে ইউর্টান করে সংসদে যোগ দেয়ায় দলটির নীতিনির্ধারকরা অনেকেই হোঁচট খেয়েছেন। তারা যখন শপথ নেয়ার বিষয়ে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন, তখন তারা তারেক রহমানের ওপর সিদ্ধান্ত নেয়ার একক ক্ষমতা দেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেবেন সকলেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অনেক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন। এটা ঠিক না। এতে করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল ম্যাসেজ যাবে। এরফলে নেতাকর্মীদের মনোবল দূর্বল হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়