শিরোনাম
◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০১৯, ০৫:৫৫ সকাল
আপডেট : ০২ মে, ২০১৯, ০৫:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিমানবন্দরের পুলিশ ব্যাগটি উদ্ধার করতে পারবে ভাবিনি’

ডেস্ক রিপোর্ট  : সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি থেকে গত ২৯ এপ্রিল এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে চড়ে ঢাকায় আসেন হাসনাত আরা হাসান। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্যানোপিতে ভুলে নিজের একটি ব্যাগ ফেলে বেরিয়ে যান তিনি। এতে স্বর্ণের দুটি চুড়ি, চারটি কানের দুলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল।

পরে বাসায় ফিরে আরা হাসান টের পান, ব্যাগটি ফেলে এসেছেন বিমানবন্দরে। ততক্ষণে ব্যাগ নিয়ে চলে গেছেন আরেক নারী। ব্যাগের খোঁজে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাহজালালে আসেন হাসান। বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।

সূত্র জানায়, যাত্রীর অভিযোগ পেয়ে সিসি ক্যামেরায় ব্যাগের অনুসন্ধান শুরু করে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেটি নিয়ে চলে গেছেন আরেক নারী। পরবর্তী সময়ে গাড়ির নম্বর শনাক্ত করে তাকে খুঁজে পায় পুলিশ। তার কাছ থেকে স্বর্ণের দুটি চুড়ি, চারটি কানের দুলসহ ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে হাসনাত আরা হাসানের কাছে এই ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে হাসনাত আরা হাসান বলেন, ‘আমি অভিভূত। প্রথমে ভাবিনি বিমানবন্দরের পুলিশ ব্যাগটি উদ্ধার করতে পারবে। দীর্ঘ সময় আবুধাবি ছিলাম। সেখানকার পুলিশের খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। কিন্তু আমাদের পুলিশ বাহিনীও অনেক চৌকস ও সক্ষম।’

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শাহজালাল বিমানবন্দর সিসি ক্যামেরার আওতায়, এছাড়া আমাদের সদস্যরাও সার্বক্ষণিক নজরদারি করেন। ফলে এখানে বিমানবন্দরে যেকোনও কিছু হারানো গেলে ফেরত পাওয়া সম্ভব।’

এ ঘটনার দুই দিন আগে (২৮ এপ্রিল) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজের আসনে মানিব্যাগ ফেলে যান সৈয়দ মাহবুব ইসলাম নামের একজন যাত্রী। এতে ছিল ১ হাজার মার্কিন ডলার ও ১ হাজার ৬০০ সিঙ্গাপুর ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ টাকা।

বিমানের নিরাপত্তাকর্মী মনিরুল ইসলাম মানিব্যাগটি পেয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যদের জানান। পরবর্তী সময়ে মানিব্যাগ থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্মড পুলিশ। এরপর তিনি মানিব্যাগ ফেরত পান।

যাত্রীদের কাছে যেকোনও কিছু হারানো গেলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে জানানোর অনুরোধ করেছেন এই কর্মকর্তা। তার কথায়, ‘আমরা সবসময় যাত্রীদের অভিযোগ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিই। কিন্তু অনেক সময় যাত্রীরা অভিযোগ জানান না, এ কারণে মালামাল পাওয়া গেলেও তাদের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয় না। পরে সেসব মালামাল কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলো নিলামে তোলেন।’

উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়