এস এম সাব্বির : গোপালগঞ্জে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। বৈশাখের ভ্যাপসা গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তীব্র তাপদাহে ৫ উপজেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে। গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ আর অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বিশেষ করে দরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষেরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। মানুষের পাশাপাশি পশুপাখির জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ জেলার কোথাও বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ভ্যাপসা গরম আর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং জনজীবন দূর্বিষহ করে তুলছে। ডাব, তরমুজ, শসা, বাঙ্গি, প্রভৃতি ফল খেয়ে মানুষ তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করছে। দুপুরের পর রাস্তাঘাট, হাটবাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ফাঁকা হয়ে যায়। প্রয়োজন ছাড়া দুপুরে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না।
ধান, পাট, শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সবুজ ঘাস পুড়ে হলুদ বর্ণ ধারণ করায় মাঠে গো-খাদ্যের সংকট চলছে। এদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের নদ-নদী, খাল, বিল, জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে। চলছে পানীয় জলের তীব্র সংকট। ভরা বৈশাখের তীব্র তাপদাহে বৃষ্টির জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওরস্যালাইন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলার আবাসিক এলাকায় বিশুদ্ধ পানীর তীব্র সংকট চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :