শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০১৯, ০৩:১৫ রাত
আপডেট : ০১ মে, ২০১৯, ০৩:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোদীরা ভারতবাসীকে এখন পাকিস্তানের ভয়ে সেঁধিয়ে থাকতে বলছেন, বামদের পত্রিকায় সম্পাদকীয়

মৌরী সিদ্দিকা : পশ্চিমবঙ্গে ত্রিশ বছরেরও অধিক সময় ক্ষমতায় ছিল জ্যোতি বসুদের বাম দল। তাদেও মুখপত্র দৈনিক গণশক্তি। ৩০ এপ্রিলের গণশক্তির সম্পাদকীয়তে তারা বিজেপি ও তৃণমূলকে ধুইয়ে দিয়েছে। তিনটি দলই লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নিচে তাদের সম্পাদকীয় সন্নিবেশিত হল।

গোটা দেশে যেমন বিজেপি তেমনি এ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কঠিন পরিস্থিতিতে আছে। চার দফা ভোট গ্রহণের পর মোদী-অমিত শাহদের ক্ষীণ আশা আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে। গত নির্বাচনে যে আসনগুলিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে তার মধ্যে যতগুলিতে মোদীর দল জিতেছিল এবার তার অর্ধেক আসনে জিততে পারবে এমন নিশ্চয়তা মিলছে না। এমন ধারা যদি পরবর্তী তিন দফাতেই চলে তাহলে এ যাত্রায় আর মোদীর ক্ষমতায় ফেরা হবে না। তা যতই তিনি শক্তিমানের বিজ্ঞাপন দিন বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবান্তর বাকযুদ্ধ চালান মানুষের কাছে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে ভারতের মতো বহু ধর্ম, সম্প্রদায়, ভাষা, সংস্কৃতির দেশে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার চালানোর যোগ্যতা বা সামর্থ্য মোদীর নেই। দু’হাজার বছরের পুরানো অন্ধ হিন্দুত্ববাদী যুক্তিহীন অবৈজ্ঞানিক ভাবনায় ভর করে যাই হোক আধুনিক গণতান্ত্রিক ভারতের সরকার চালানে। যারা রামায়ণ বা মনুসংহিতার পর আর কোনও আধুনিক জ্ঞানের আলোয় জারিত হয়নি তাদের পক্ষে কল্পনার স্বর্গে হিন্দু রাষ্ট্রের সরকার পরিচালনা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

সাধারণ মানুষের স্বার্থে যেসব কাজ করার কথা ছিল তা কতটুকু করেছেন বা করেননি তার কৈফিয়ত নেই। আগে মোদীরা মানুষের জীবন-জীবিকা সুরক্ষার কথা বলতেন, এখন শুধু দেশ রক্ষার কথা বলছেন। আগে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী হতে বলতেন এখন তাঁদের সন্ত্রাসবাদী ও পাকিস্তানের ভয়ে সেঁধিয়ে থাকতে বলছেন। আর নিজে সবাইকে জব্দ করার শক্তিমান সাজছেন। যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলি পালন করেননি অথচ ক্ষমতায় ফেরার বাসনা মোদীল প্রবল। দেশপ্রেমের জোয়ারে ভাসিয়ে দাও। মোদীদের নির্দেশ সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা গড়ে প্রবল মুসলিম বিদ্বেষকে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদে রূপান্তরিত করে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনকে পূর্ণমাত্রায় উত্তরণ ঘটাও। এইভাবেই বেপরোয়া প্রয়াস চালিয়ে ক্ষমতায় ফেরার ব্যর্থ প্রয়াস চালাচ্ছেন মোদী।

এরাজ্যে তৃণমূলও আছে কঠিন সঙ্কটে। এই নির্বাচনে তাদের ক্ষমতা হারানোর কথা নয়। কিন্তু সুবিধাবাদী ও ধান্দাবাজি নির্ভর রাজনীতির অনিবার্য পরিণতিতে দল টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে গেছে। তাই দু’পক্ষের মূল শত্রু বামেরা। তৃণমূল-বিজেপি’র এই চরিত্র মানুষের উৎসাহে ভাটা আনছে। লড়াইয়ের ময়দানে বামেদের জমি পোক্ত হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়