রাশিদ রিয়াজ : গত আঠারো বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অতিরিক্ত আয়কর দেওয়ায় পাঁচ বার আয়কর ফেরত পেয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ছয়বার এধরনের আয়কর ফেরত পেয়েছেন। আয়কর দফতরের ট্যাক্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক মারফত ‘রিফান্ড স্ট্যাটাস’ জানার যে পরিষেবা রয়েছে সেখান থেকেই এই তথ্য পাওয়ার কথা বলেছে ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই।
মোদীর পাঁচ বার আয়কর ফেরত হলেও ২০১২-১৩ এবং ২০১৫-১৬ এই দুই অ্যাসেসমেন্ট বর্ষে (অর্থাৎ ২০১১-১২ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে)তার কর ফেরতের টাকা বকেয়া আয়করের সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করা হয়েছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে এমন ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ হয়েছে কেবলমাত্র ২০১২-১৩ অ্যাসেসমেন্ট বর্ষে।
অনলাইনে ট্যাক্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক থেকে ‘রিফান্ড স্ট্যাটাস’-এ করদাতার প্যান নম্বর দেওয়া হলে ২০০১-০২ থেকে কতবার আয়কর ফেরত পেয়েছেন, কোন বছর কত কর ফেরত হয়েছে বা বকেরা করের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে, এই সব তথ্য পাওয়া যায়।
যেহেতু নির্বাচনের প্রার্থীকে তার মনোনয়ন পত্রে প্যান নম্বরও উল্লেখ করতে হয়। সেহেতু এবারের লোকসভা নির্বাচনের জন্য দাখিল করা হলফনামা থেকে মোদী এবং রাহুলের প্যান নম্বর সংক্রান্ত তথ্য জানা গিয়েছে বলে সংবাদপত্র জানিয়েছে।
ভারতের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সোনিয়া গান্ধী পাচ বার করের টাকা ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু অমিত শাহ একবারও আয়কর ফেরত পাননি। তবে ২০১৫-১৬ অ্যাসেসমেন্ট বর্ষে তার দেওয়া অতিরিক্ত কর বকেয়া আয়করের সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করা হয়। কিন্তু সোনিয়ার ক্ষেত্রে এরকম অ্যাডজাস্টমেন্টের কোনও নজির নেই।
আপনার মতামত লিখুন :