মহিব আল হাসান : বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আজ বিকেল তিনটার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের সময় ডট কমকে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই আলহাজ্ব সালেহ জামান সেলিম।
সালেহ জামান জানান, গতকাল এ টি এম শাসুজ্জামানের শ্বাস নিতে কষ্ট হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর সমস্যা বেশি হলে ডাক্তাররা তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে অসুস্থবোধ করলে এ টি এম শাসুজ্জামানকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালে ২৭ এপ্রিল এই বরেণ্য অভিনেতার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। তখন তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে এটিএম শামসুজ্জামান সবার বড়। এটিএম শামসুজ্জামানের ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবেেে প্রথম চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত হন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন।
প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
আপনার মতামত লিখুন :