মো. আল-আমিন : বিভিন্ন শ্রেণির অনাদায়ী ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তনে তারল্য সংকটের পাশাপাশি খেলাপি ঋণও কমে আসবে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও এর ফলে জুলাই থেকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমবে। কমে আসবে খেলাপি ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের চাপও। চ্যানের ২৪
তবে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) মনে করছে, এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও তারল্য সংকট নিরসনে এ নীতিমালা খুব একটা কাজে আসবে না। এ নীতিমালাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। এই নীতিমালায় ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট না কমে উল্টো বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন এবিবির সভাপতি।
তিনি বলেন, এ নীতিমালা সহায়ক হয়েছে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের জন্য। বহু চেষ্টায় ঋণ মঞ্জুর ও ছাড়করণের দীর্ঘসূত্রিতায় এতদিন গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন তারা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা না থাকলে সরকারকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে ব্যাংকখাতের খেলাপি ঋণ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। এ অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য নীতিমালায় পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ৬ মাস কিস্তি পরিশোধ না করলে ওই ঋণকে সাব-স্ট্যান্ডার্ড, নয় মাস পরিশোধ না করলে সন্দেহজনক ও ১ বছরের কিস্তি বকেয়া পড়লে মন্দমানের খেলাপি হিসেবে শ্রেণীকৃত করা হবে। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৩, ৬ ও ৯ মাস। জুন শেষে কার্যকর হবে এই নীতিমালা।
আপনার মতামত লিখুন :