হ্যাপি আক্তার : চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে শুল্ক ফাঁকি দেয়া কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। নামে বেনামে লাইসেন্স ব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। সম্প্রতি আর এস কর্পোরেশন ও এস এন ট্রেড নামে দুইটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান এমন অপকর্মে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন কাস্টমস ও শুল্ক কর্মকর্তারা। - ডিবিসি নিউজ।
রাজস্ব ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগে সিএন্ডএফ এজেন্ট আর এস কর্পোরেশন ও এস এন ট্রেড এর বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে ২০টির বেশি মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু চালান। তবে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান দুইটিকে কালো তালিকাভুক্ত করায় এখন মমতা এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স ব্যবহার করে তাদের অপতৎপরতা চলছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার বন্দর-শিপিং স্ট্যান্ডিং কমিটি আহ্বায়ক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বার বার করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই জালিয়াতির ঘটনা আরও বেড়ে যাবে।’
এস এন ট্রেড ও আর এস করপোরেশন কর্মকর্তা জহিরুল হক রাশেদ বলেন, এইসব বিষয়ে তো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। আমরা শুধু কাজ করি, কাজ শেষে চলে যাই। আমরা তো শুধু আমাদের যেই লাইসেন্সগুলো আছে সেগুলো দিয়েই কাজ করি, এর বাইরে কিছু জানা নেই।
সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পক্ষে নয়। আমরা রাষ্ট্রের শুল্ক সংরক্ষণের পক্ষে সবসময় ভূমিকা রাখি। আমাদের অনুরোধ অত্যাধিক লাইসেন্স ইস্যু করা যেনো বন্ধ করা হয়।’ সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :