নুর নাহার : বিএনপির শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে পূর্ণতা পেলো জাতীয় সংসদ। দেরিতে হলেও দলটির এমপিদের শপথ গ্রহণ দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপি নেতারা বলছেন কর্তৃত্ববাদি শাসন থেকে মানুষের মুক্তি, সরকারের অন্যায় অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরতেই তাদের সংসদে যাওয়া। যমুনা টিভি
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোমবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত আরো ৪জন। সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব জানান নেত্রির মুক্তি ও সরকারের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরতেই যতোটুকু সুযোগ রয়েছে তার সুষ্টু ব্যবহার নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য।
দেরিতে হলেও বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের সংসদে ফেরার বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই আমাদের আগের সিদ্ধান্তের পূণমূল্যায়ণ হয়েছে। আমরা সংসদে গিয়ে সেখানে কথা বলার যে ন্যূনতম সুযোগ সেটি কাজে লাগাতে চাই।
আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, এই শপথ ঠেকানোর নামে দীর্ঘদিন যারা চেষ্টা করেছে বিএনপির সেই মূল নেতৃত্বের তাদের নেতিবাচক রাজনীতির অন্তসারশূন্যতা প্রমানিত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি হয়তো ভেবেছে যে সংসদ বর্জন করে তাদের তো গেইন করার কিছু নেই। যদি মির্জা ফখরুল সংসদে যান তাহলে তাদের এক ধরণের জায়গা তৈরি হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. এম আবুল কাশেম মজুমদার বলেন, এর ফলে সরকার একতরফা চিন্তা করার চাইতে কিছুটা হলেও সতর্ক থাকবে এবং গণতন্ত্রের যে পূর্বশর্ত সংসদে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি স্বীকার করুক আর না করুক পরিষ্কার দেখা যায় তাদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
বিএনপির সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক পরিপক্কতার প্রমাণ বলছেন রাজনৈতিক সচেতনরা। হাতেগোনা কয়েকজন এমপি নিয়ে সংসদে কতটা সরব হতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :