আব্দুর রাজ্জাক : নরওয়ের উত্তরাঞ্চলীয় কাউন্টি ফিনমার্ক উপকূলে হঠাৎ একটি বিশেষ তিমি দেখে আতকে ওঠেন জেলেরা। আকস্মিকভাবে এই বেলুগা তিমিটি চোখে পড়লে জেলেরা দেশটির ফিশারি বিভাগে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চায়। সিএনএন
তিমিটির বর্ণনা দেন জোয়ার হেসেন। এই জেলেই প্রথম তিমিটিকে তাড়া করেন। তিনি বলেন, তিমিটি বিশেষভাবে সাজানো ছিলো তার গলায় একটি বর্মও পড়ানো ছিলো এবং বর্মটির সঙ্গে ক্যামেরা লাগানো ছিলো।
নরওয়ের ফিশারি বিভাগের সমুদ্র বিশেষজ্ঞ জর্জেন রী উইগ বলেন, তিমিটিকে রুশ সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এবং এটি জেলেদের কাছে তার গলার বর্মটি খোলার জন্য সাহায্য চাইতেই হয়তো উপকূলে ভিড়েছিলো।
জর্জেন রী উইগ আরো বলেন, ‘বর্মটি বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এর উভয় পার্শ্বে ক্যামেরা লাগানো ছিলো। আমরা বিশ্বাস করি, তিমিটি রাশিয়ার মারমানস্ক থেকে এসেছে এবং এটি রুশ নৌবাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়েছে। রুশ নৌবাহিনী আগে এই বেলুগা তিমিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এর মাধ্যমে সামরিক অভিযান পরিচালনা, ঘাঁটি পাহারা, ডুবুরিদের সহায়তা ও হারানো জিনিস খুঁজে পেতে ব্যবহার করতো।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেও মারমানস্ক সামুদ্রিক জীব গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেলুগা তিমি, ডলফিনকে সামরিক ভূমিকা রাখার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলো বলে সাইবেরিয়া টাইমস জানায়। তবে গত সপ্তাহে আটক করা তিমিটির গলা থেকে বর্মটি অপসারণ করে তা আবারো মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :