শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১০ সকাল
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টিফিন বেচে কোটিপতি

দেশ রূপান্তর : পৃথিবীতে অনেকেই আছেন যারা শৈশব থেকেই উদ্যোক্তা। লন্ডনের ব্যবসায়ী শাহরান পাসরিচা তাদেরই একজন। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে তার বাণিজ্যিক যাত্রার শুরু বলা চলে। শাহরানকে তার পরিবার ছয় বছর বয়সে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। স্কুলে যাওয়ার আগে তার মা দুপুরের টিফিন হিসেবে বানিয়ে দিতেন স্যান্ডউইচ। শাহরান সেই স্যান্ডউইচ নিজে না খেয়ে ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে টাকা জমাতেন।

ভারতের মুম্বাইয়ে বেড়ে ওঠা শাহরান বিবিসিকে বলেন, ‘আমি স্কুলেই বেশ মুনাফা করেছিলাম এবং মাকে আমি আরও বেশি স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিতে বলতাম। আমি এতটাই লোভী হয়ে উঠেছিলাম যে, মুনাফার জন্য স্যান্ডউইচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।’

অবশ্য খুব বেশিদিন স্কুলে শাহরান এ ব্যবসা চালাতে পারেননি। অন্য এক শিক্ষার্থীর পরিবার বিষয়টি শাহরানের মাকে জানালে বন্ধ করে দিতে হয় স্যান্ডউইচ বিক্রির ব্যবসা। কিন্তু ব্যবসা বন্ধ হলেও থেমে থাকেননি। মাত্র ২২ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে রুশ মিডিয়া খুলে বসেন। তখন তিনি মিডিয়া বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরের তিন বছর ওই ব্যবসা করেন।

শাহরানের ব্যবসায়িক চিন্তা-ভাবনার প্রতি নজর পড়ে দিল্লিতে অবস্থানরত তার চাচার। তিনি তার ভাতিজাকে ভারতে ফিরে এসে বাবার চামড়ার গার্মেন্টস ব্যবসা সামলাতে বলেন। এ ব্যাপারে শাহরান বলেন, ‘ওটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। ২৫ বছর বয়সে আমি একটি সংস্থা চালাই যেখানে ৩০০ মানুষ কাজ করে। আমি ক্রমেই বিক্রি, অর্থায়ন, সরবরাহ চেইন, মার্জিন এবং দক্ষতা সম্পর্কে জানছিলাম।’

আরও বলছিলেন, ‘ডিজাইন, সম্প্রদায়, খাবার এবং পানীয়র জন্য হোটেল খুব আদর্শিক জায়গায়। আমি ভাবলাম, এসব বিষয় নিয়ে যদি নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাই তাহলে বেশ ভালোই হয়।’ ২০১১ সালে শাহরান এনিসমোর হোল্ডিংস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এনিসমোর পূর্ব লন্ডনে হক্সটন হোটেল কিনে নেয়। প্রথম বছর ওই হোটেলে প্রায় কিছু না করেই তিনি কাটিয়ে দেন।

ধীরে ধীরে ব্যবসা বুঝে নেওয়ার পর তার মুনাফা আসতে শুরু করে। লন্ডনের মতো জায়গায় নিজেদের স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান শাহরান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে হোলবর্নে আরও একটি হোটেল কিনে নেয় এনিসমোর। এরপর আমস্টারডাম, প্যারিস এবং যুক্তরাষ্ট্রে এই ব্যবসা সম্প্রসারিত হতে শুরু করে।

২০১৭ সালের তথ্য অনুসারে, এনিসমোর হোল্ডিংসের বাৎসরিক আয় প্রায় ২০ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড। শাহরান এখন এনিসমোরের বাইরে নতুন ব্যবসা ও নতুন ব্র্যান্ড তৈরিতে ব্যস্ত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়