ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম : বর্ষপূর্তির এ আনন্দঘন দিনে বলবো ‘আমাদের নতুন সময়’ নামের এ দৈনিকটি বহমান সময়ের একটি নিরপেক্ষ ইতিহাস চলন্তিকা রচনার অঙ্গীকার নিয়েই এগিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, সময়ের যথার্থ মূল্যায়নেও সে সমভাবে ব্রতী। নতুন সময় মানে নতুন সম্ভাবনা, নব চ্যালেঞ্জ। সময়ের ঘটনাপ্রবাহের যথাযথ মূল্যায়নে রাষ্ট্র, সমাজ ও রাষ্ট্রের জনগণ সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দিক্ নির্দেশনা পেয়ে যায়। পত্রিকাটি যেমন বাংলাদেশের ঘটনা এবং সমস্যা-মনস্ক, তদ্রুপ তার দৃষ্টি আন্তর্জাতিক বিশ্বেও।
এ বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক যেকোনো গুরত্বপূর্ণ ঘটনার অভিঘাত দেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি তার সংস্কৃতির উপরও প্রভাব ফেলে। পত্রিকাটি এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। বাংলাদেশে অনেক পত্রিকা আছে। এখানে আবার একটি নতুন পত্রিকা কেন, এমন প্রশ্ন যদি কারও মনে জাগে, তাকে আমি বিনয়ের সঙ্গে একটি অনুরোধ করি, পত্রিকাটি হাতে নিয়ে একটু ভালো করে খেয়াল করুন।
কী দেখা যাচ্ছে? আপনি নিশ্চয়ই দেখছেন এটা একটি নতুন ধারার পত্রিকা। শুধু চিন্তা-চেতনায়ই নয় কলেবরেও সে নতুনের সঙ্গে আর কোনো দৈনিকের মিল পাবেন না। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্ববাহী ঘটনা এর প্রথম পাতাতেই পেয়ে যাবেন। একটু কম গুরুত্বপূর্ণ যা, তা শেষের পাতায়। প্রথম পাতার খবরের অবশিষ্ট অংশ দ্বিতীয় পাতায়, আর শেষ পাতার অবশিষ্ট অংশ সপ্তম পাতায়। পত্রিকাটি সর্বমোট আট পাতার। ফলে কেউ যদি তার মনোপুত কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদন সংগ্রহ করে রাখতে চান, তবে তিনি প্রথম যুগল পাতাটি সংগ্রহে রেখে দিতে পারেন যাতে রয়েছে প্রথম-দ্বিতীয় এবং সপ্তম-অষ্টম পাতা। ভেতরের পাতাগুলোও এর খবরে ঠাসা থাকে।
প্রতিটি লেখার শিরোনামের তলেই লেখকের ছবি দেয়া থাকে, যাতে সুধী পাঠক তার পছন্দ হওয়া লেখার লেখকটিকেও দেখে তৃপ্তি পেতে পারেন। পত্রিকারটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য এটি পাতার বিবেচনায় কলেবরে ছোট হলেও আসলে বহু পাতা বিশিষ্ট বড় বড় পত্রিকায় পাঠক যা আশা করেন, তা মাত্র চার পাতার এ পত্রিকায় সুন্দরভাবেই থাকে। পত্রিকার স্পেস-ম্যানেজমেন্ট সত্যি ব্যতিক্রমী এবং সৃজনশীলতার সাক্ষ্য বহন করে। দামও এর অতি কম, মাত্র তিন টাকা। পত্রিকাটিকে মধ্যবিত্ত তো বটেই, বরং দরিদ্রবান্ধব করা হয়েছে। এজন্য অল্প সময়ের মধ্যই এর পাঠক-সংখ্যা প্রত্যাশাকেও অতিক্রম করেছে।
পত্রিকাটির সম্পদনায় যিনি আছেন, তিনি এ দেশের সাংবাদিকতার জগতে অত্যন্ত প্রিয় একটি সফল মুখ, নাঈমুল ইসলাম খান। এর রয়েছে এক ঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ তরুণ সাংবাদিক। আর প্রবীণ যারা আছেন এর সঙ্গে, তারাও পেশাগত অভিজ্ঞতায় অত্যন্ত ঋদ্ধ ও পরিচিত মুখ। এ পত্রিকা কেবল উদয়ের পথের, প্রতি দিনের, নতুন সময়ের। এ পত্রিকার কোনো ভয় নেই।
লেখক : উপদেষ্টা সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়
আপনার মতামত লিখুন :